বলিউড অভিনেতা ববি দেওলের জীবন যেন আক্ষরিক ওঠেই রোলারকোস্টার। ১৯৯৫ সালে ‘বরসাত’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। তার পরপরই একের পর এক হিট - ‘সোলজার’, ‘বাদল’, ‘বিচ্ছু’, ‘অজনবি’। কিন্তু সেই ঝলমলে সাফল্যের পথেই হঠাৎ নেমে আসে অন্ধকার। ২০০০-এর দশকের শুরু থেকেই বক্স অফিসে ধাক্কা খেতে থাকে তাঁর ছবি, আর সেই সঙ্গে বদলে যায় চারপাশের মানুষজনও। আরও ভাল করে বললে, তাঁর প্রতি বলিপাড়ার লোকজনের ব্যবহার।
সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে নিজের সেই কঠিন সময়ের কথা অকপটে ভাগ করেন ববি। অভিনেতার কথায়, “সবটাই খুব ধীরে ধীরে ঘটেছিল। লোকজন হাসিমুখে কথা বলত, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই আলাদা আলাদা দল বানিয়ে চলে যেত, আমি একা হয়ে যেতাম। পার্টির নিমন্ত্রণ কমতে শুরু করে। আর আমরা দেওলরা এমনিতেই বেশি পার্টি দিই না, তবু আগের উষ্ণতাটা হারিয়ে গিয়েছিল। মানুষ পাশে থাকে ততদিন, যতদিন তুমি তাদের কিছু দিতে পারো।”
তবে এত কিছুর পরও কোনও রাগ নেই ববির। তাঁর মতে, “এটা সব ইন্ডাস্ট্রিতেই হয়। আমি কাউকে দোষ দিই না। এখন যখন ‘আশ্রম’ আর ‘অ্যানিম্যাল’-এর সাফল্যের পর আবার কাজ আসছে, সেই একই মানুষজন ফিরে আসছে, যারা আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল তখন। কিন্তু আমি কারও বিরুদ্ধে কিছুই মনে রাখিনি।”
দীর্ঘ সময় পর পরিচালক প্রকাশ ঝা’র ওয়েব সিরিজ ‘আশ্রম’ তাঁর কেরিয়ারে ফের আলো জ্বালায়। সিরিজে ‘বাবা নিরালা’-র চরিত্রে তাঁর অভিনয় নজর কাড়ে সকলের। আর তার পরেই সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা-র ‘অ্যানিম্যাল’-এ খলনায়কের চরিত্রে তিনি যেন ফের জন্ম নেন বড়পর্দায়। ২০২৩-এর সেই ব্লকবাস্টারের পরেই শুরু হয় ববির দ্বিতীয় ইনিংসের জয়যাত্রা। সম্প্রতি আরিয়ান খানের ‘দ্য ব্যাডস অব বলিউড’ ছবিতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে।
এক সময় যাঁরা দূরে সরে গিয়েছিলেন, আজ তাঁর ঘরে ফেরে সেই পুরনো মুখগুলোও। তবু ববির কণ্ঠে একটাই বার্তা, “কেউ আমাকে উপেক্ষা করেছে বলে রাগ নেই। কারণ আমি জানি, প্রত্যেকের সময় একদিন বদলায়।”
