মুম্বইয়ে এক প্রসাধনী নির্মাতা সংস্থার অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন ইয়ামি গৌতম। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হল— কখনও কি তিনি নিজের চেহারায় ‘সার্জিক্যাল চেঞ্জ’ আনার কথা ভেবেছেন? অর্থাৎ অস্ত্রোপচারের সাহায্য আরওআকর্ষণীয় হওয়া। জবাবে, ভিকি ডোনার খ্যাত বলি-অভিনেত্রী যা বললেন, তা শুনে চমকে উঠেছে নেটপাড়া। কী জবাব দিলেন ইয়ামি? অভিনেত্রীর কথায়— “শুধু আলু-পেঁয়াজকেই ছুরি দিয়ে কাটাছেঁড়া করা উচিত!”
প্রশ্নকর্তা পাল্টা বলেন, বহু তারকাই এই পথে হাঁটেন। উত্তরে ইয়ামির ফের সোজাসাপটা বক্তব্য—“আমি কারও জীবন নিয়ে উপদেশ দেওয়ার লোক নই। আমার অনুরাগীরা আমাকে যেভাবে দেখেন, সেটাই আমার পরিচয়— সত্যি, খুঁতসমেত, নিজের মতো। যে যেটায় খুশি, সেটাই করা উচিত। খুশি থাকলেই সুন্দর দেখাবে।”

অনেকেই জানেন না, এই অভিনেত্রী আগে নাকের অপারেশন করার পরামর্শ পেয়েছিলেন!গত বছর এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামি জানান, এক সময় তাঁকে 'নোজ জব' করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। অভিনেত্রীর তির্যক মন্তব্য— “মুখ নিয়ে মানুষের এত খুঁতখুঁতানি কেন? কেউ চাইলে করবে, কিন্তু কাউকে জোর করে বলাটা ভুল। শুধু ছবিতে কাজ পেতে বা দেখতে সুন্দর, আকর্ষণীয় হওয়ার জন্য এমন কিছু করার আমি একেবারেই পক্ষে নই।”
সম্প্রতি, নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে তাঁর কমেডি ফিল্ম ধুম ধাম (সহঅভিনেতা প্রতীক গান্ধী)। এবার তাঁকে দেখা যাবে ইমরান হাশমির সঙ্গে এক কোর্টরুম ড্রামায়, যা প্রভাবিত ১৯৮৫ সালের শাহ বানো বনাম আহমেদ খান কেস থেকে। ইয়ামি থাকছেন শাহ বানোর ভূমিকায়, আর ইমরানের চরিত্রটি তাঁর প্রাক্তন স্বামীকে কেন্দ্র করে লেখা। এই ছবিই পরিচালক সুপর্ণ এস বর্মার কোর্টরুম ট্রিলজির দ্বিতীয় কিস্তি।
কিছুদিন আগে একাধিক জনপ্রিয় বলি-অভিনেত্রীদের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল কঙ্গনা রানাউতের মুখে। সেই তালিকায় ছিলেন ইয়ামি গৌতমও। একইসঙ্গে নিজের জন্মস্থান হিমাচল প্রদেশের শ্রমজীবী মহিলাদের হয়ে জোর গলায় আওয়াজ তুলতেও দেখা গেল তাঁকে। সমাজমাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করেছেন কঙ্গনা। সেই পোস্টে রয়েছে তাঁর সঙ্গে প্রীতি জিন্টা, ইয়ামি গৌতম এবং ‘লাপতা লেডিজ’ ছবিখ্যাত অভিনেত্রী প্রতিভা রান্তা। এই চার অভিনেত্রীর জন্মস্থান হিমাচল প্রদেশ। সেকথা উল্লেখ করে কঙ্গনা ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘হিমাচলের বাসিন্দারা’। তবে এই ক্যাপশন দিয়েই থেমে যাননি ‘ক্যুইন’। গলা ছড়িয়েছেন হিমাচল প্রদেশের শ্রমজীবী নারীদের হয়েও, যাঁরা প্রচার ও ক্যামেরার আড়ালে নিজেদের কাজ করে চলেছেন প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত।

জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এই অভিনেত্রী লিখলেন তিনি তাঁর রাজ্যের এমন বহু শ্রমজীবী মহিলাদের আকছার দেখেছেন যাঁরা তাঁর থেকে তো বটেই এই অভিনেত্রীদের মতো কিংবা তাঁদের থেকেও সুন্দর দেখতে। এবং সেই সমাজমাধ্যমের প্রচারের আলোর বাইরে থাকা মহিলারা প্রতিদিন নিজেদের জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন কোনও হাল্লা ছাড়াই। কঙ্গনার মতে, “আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, এঁদের হয়ে গলা চড়ানো উচিত।”
