মনোরঞ্জনের অন্যতম মাধ্যম যেহেতু ওটিটি-ই। তাই ওটিটির সিরিজের ঘরানায় আসছে নতুনত্ব। জি ফাইভের উদ্যোগে আসছে মাইক্রো ড্রামা। রিলের আকারে কয়েক মিনিটেই শেষ হবে এক একটি পর্ব। এরকম বেশ কয়েকটি পর্ব মিলিয়ে তৈরি হবে মিনি সিরিজ বা মাইক্রো ড্রামা। এই নতুন ঘরানা দর্শকের থেকে দারুণ প্রতিক্রিয়া পাবে বলে আশা করছেন নির্মাতারা। এই উদ্যোগের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বহু টলি তারকারা।
জি ফাইভ ও বুলেট অ্যাপে ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে এরকম কিছু মাইক্রো সিরিজ। যার মধ্যে নয়া সংযোজন আরও একটি সিরিজ। পরিচালনায় অভ্রজিৎ সেন। এই সিরিজের মুখ্য চরিত্রে দর্শক দেখবেন রণজয় বিষ্ণু, দেবাদৃতা বসুকে। এছাড়াও থাকতে পারেন অভিনেত্রী মানালি মনীষা দে।
সূত্রের খবর, ত্রিকোণ প্রেমের গল্প বলবে এই ছবি। দেবাদৃতা ও মানালির মাঝে দোটানায় দেখা যাবে রণজয়কে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই মাইক্রো সিরিজের শুটিং। বর্তমানে বড় ভিডিওর থেকে রিল ভিডিও দেখতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন দর্শক। তাই এই পছন্দের কথা মাথায় রেখেই রিল ফরম্যাটে আসছে এই সিরিজ।
ত্রিকোণ প্রেমের গল্পের প্রতি বরাবরই আকর্ষণ বেশি থাকে দর্শকের। ছোটপর্দার পরিচিত মুখদের এবার একফ্রেমে দেখা যাবে একেবারে অন্য ভূমিকায়। রণজয় বিষ্ণুকে দর্শক সম্প্রতি দেখেছেন জি বাংলার ধারাবাহিক 'কোন গোপনে মন ভেসেছে'তে। কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে এই মেগা। অন্যদিকে, তাঁকে বড়পর্দায়ও দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ছবিতে। দেবাদৃতাও ছোটপর্দার পরিচিত মুখ। দর্শক তাঁকে শেষ দেখেছিলেন 'মিঠিঝোরা' ধারাবাহিকে। মানালিকে দর্শক ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় এমনকী ওটিটির দুনিয়াতেও দেখেছেন।
প্রসঙ্গত, অভ্রজিতের এই মাইক্রো সিরিজে আরও সংযোজন 'লক্ষ্মী পেল লটারি'। এই মাইক্রো সিরিজটি ৬০টি এপিসোডে দেখা যাচ্ছে। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন সৌর্য দেব। এই সিরিজের মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন সোমরাজ মাইতি, দীপান্বিতা রক্ষিত, প্রসূন সাহা ও জিৎ সুন্দর চক্রবর্তী।
কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় হয়েছে এই সিরিজের শুটিং। এই মাইক্রো সিরিজের গল্পের প্রতি পর্বে থাকবে টুইস্ট। গল্পের নায়িকা 'লক্ষ্মী'র চরিত্রে দীপান্বিতা। অত্যন্ত নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম তার। অভাবের সংসারে সে একাই সবকিছুর দায়িত্ব সামলাচ্ছে। ভাইকে নিয়েই থাকে সে। লক্ষ্মীর ভাই-এর চরিত্রে জিৎ। এদিকে, একদিন পরিচারিকার কাজ সেরে ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফিরছিল লক্ষ্মী। তখন একজনের সঙ্গে রাস্তায় ধাক্কা লাগে তার। সঙ্গে সঙ্গে ভাগ্য যেন পুরো ঘুরে যায় লক্ষ্মীর।
কারণ, ওই লোকটির সঙ্গে ছিল একটা লটারির টিকিট। আর লক্ষ্মীর সঙ্গে ধাক্কা লেগে সেই টিকিটটি পড়ে যায় মাটিতে। সঙ্গে সঙ্গে টিকিটটি তুলে নেয় লক্ষ্মী। আর ভাগ্যের ফেরে বিরাট অঙ্কের টাকা জিতে যায় সে এই লটারিতে। ব্যাস! ভাগ্যের ফেরে রাতারাতি সবকিছু বদলে যায় তার। কিন্তু সুখ? সুখের মুখ তো দেখতে পায় না সে।
এদিকে, ঘটনাচক্রে তার সঙ্গে দেখা হয় সোমরাজের চরিত্রটির। কিন্তু সেখানেও টুইস্ট আসে। গল্পে এন্ট্রি নেয় প্রসূনের চরিত্র। সব খেলা ঘুরিয়ে দেয় সে। গল্পের মোড়ে থাকবে বিরাট চমক। কোন খাতে এগোবে লক্ষ্মীর ভাগ্য উত্তর মিলবে এই মাইক্রো সিরিজের গল্পে।
