সংবাদ সংস্থা মুম্বই: দীর্ঘ অসুস্থতার পর প্রবীণ অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মনোজ কুমার শুক্রবার ৮৭ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন। তাঁর রেখে যাওয়া দেশপ্রেমে ভরপুর চলচ্চিত্রের উত্তরাধিকার আজও ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে উজ্জ্বল। দেশাত্মবোধক চরিত্রে একের পর এক অবিস্মরণীয় অভিনয়ের জন্য তিনি পেয়েছিলেন এক অনন্য উপাধি — ‘ভারত কুমার’। ভারতীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক মনোজ কুমার শুক্রবার ভোর ৪টা ৩ মিনিটে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে ডিকম্পেনসেটেড লিভার সিরোসিস-এ ভুগছিলেন, যা বর্ষীয়ান শিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতির অন্যতম প্রধান কারণ ছিল।
অন্যদিকে, অসুস্থ শরীর নিয়েই বন্ধুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এলেন ধর্মেন্দ্র। কিছুদিন আগেই চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে এই প্রবীণ অভিনেতার। শরীর ভালো না থাকা সত্ত্বেও প্রয়াত অভিনেতা মনোজ কুমারকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সশরীরে ধর্মেন্দ্র উপস্থিত হন তাঁর বাড়িতে। বন্ধুকে শেষ দেখা দেখতে অসুস্থ শরীর নিয়েও পিছপা হননি ধর্মেন্দ্র।
১৯৬২ সালের ছবি 'শাদি' ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন তাঁরা। এরপর থেকে তাঁদের সম্পর্ক আরও জমাটি হয়। সেই সম্পর্কের টানেই মুম্বইয়ে মনোজ কুমারের বাসভবনে যান ধর্মেন্দ্র। গাড়ি থেকে নামার পর তাঁকে দেখা যায় হাতজোড় করে শ্রদ্ধা জানাতে। সংবাদমাধ্যমকে মুখোমুখি হয়ে ধর্মেন্দ্র বলেন, “বহু সময় একসঙ্গে কাটিয়েছি আমরা...ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের যৌবন একসঙ্গে কেটেছে।” তবে এদিন শুধু ধর্মেন্দ্রই নয়, মনোজ কুমারের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন আরও একাধিক বলিউড তারকা—রবীনা ট্যান্ডন, প্রেম চোপড়া, এবং পুনম ঢিলন প্রমুখ।
সম্প্রতি, ধর্মেন্দ্রকে দেখা গিয়েছে শাহিদ কাপুর ও কৃতি শ্যাননের সঙ্গে 'তেরি বাতোঁ মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া' (২০২৪) ছবিতে। এরপর তাঁকে 'ইক্কিস'-এ দেখা যাবে, যে ছবির পরিচালনা করছেন শ্রীরাম রাঘবন এবং মুখ্যভূমিকায় থাকছেন অমিতাভ বচ্চনের নাতি অগস্ত্য নন্দা।
