সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ‘রকস্টার’ দিয়ে বলিউডে ডেবিউ, এরপর বহুদিন ক্যামেরার বাইরে, আর এখন কামব্যাকেই হিট—নার্গিস ফকরি যেন নিজের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন ‘হাউজফুল ৫’-এর মাধ্যমে। ছবিটি ইতিমধ্যেই বক্স অফিসে ৩০০ কোটি টাকার মাইলস্টোন ছুঁয়েছে, আর নার্গিস-ও ফের ফিরেছেন আলোচনায়। সম্প্রতি, সোহা আলি খান-এর সঙ্গে এক খোলামেলা আলাপচারিতায় নারগিস তুলে ধরলেন তাঁর স্বাস্থ্য, ত্বকের উজ্জ্বলতা আর ফিটনেস রুটিনের একাধিক গোপন রহস্য। অভিনেত্রী তুলে ধরলেন নিজের ফিটনেস ও গ্লো আপ রহস্য, যা কড়া ডায়েট আর নিখুঁত মাইন্ডসেটের এক অবাক করা মিশেল!
নার্গিসের কথায়, “আমি বছরে দু’বার উপোস করি —নয় দিন টানা শুধু জল খাই, আর কিচ্ছু মুখে তুলি না! ব্যাপারটা খুব কঠিন… কিন্তু যখন নয় দিন শেষ হলে, নিজেকে আয়নায় দেখে আমি নিজেই থমকে যাই। জ-লাইন একদম স্পষ্ট দেখা যায়, ত্বকের জেলা বেড়ে যায়, ঝলমল করে মুখ!” তবে এর পাশাপাশি সতর্ক করতেও ভোলেননি তিনি— “সবাইকে এই পদ্ধতি মেনে চলার জন্য মোটেও বলব না— এই ব্যাপারটা সবার শরীর সহ্য করতে পারে না।”
আড্ডায় উঠে আসে এ প্রশ্নও নার্গিস খেতে ভালোবাসেন কী কী? হাসতে হাসতে অভিনেত্রীর জবাব— “ এককথায় আমি খেতে ভীষণ ভালবাসি। যাকে বলে, জবরদস্ত ফুডি! বাটার চিকেন, পরোটা, মাটন বিরিয়ানি—এসব ছাড়া আমি চলি না। কিন্তু খাওয়াটাও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে করি।” সঙ্গে জানান—৮ ঘণ্টা ঘুম, প্রচুর জলপান আর ভিটামিন-মিনারেল ভর্তি খাবারই তাঁর সৌন্দর্যর মূল চাবিকাঠি। অর্থাৎ সহজ কথায়, নার্গিস প্রমাণ করলেন, ব্যক্তিত্ব -সৌন্দর্য কেবল রূপসজ্জায় নয়, মানসিকতা আর নিয়মানুবর্তিতায় তৈরি হয়। তাই এই অভিনেত্রী যখন বলেন, “সবাই চায় নিজের ত্বকের ঝটপট উজ্জ্বলতা , কিন্তু সেটা একা কোনও স্কিনক্রিমের কম্ম নয় ”—তখন তিনি আসলে বলছেন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাই হল আসল কাজ।
উল্লেখ্য, নার্গিস ফাকরি অভিনীত ‘হাউজফুল ৫’ ছবি ৩০০ কোটির ব্যবসা করে এইমুহূর্তে চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী ছবি। ছবিতে নার্গিসের স্টাইল, স্ক্রিন প্রেজেন্স, আর লুক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল চর্চা।
