অর্গানিক স্টুডিও প্রোডাকশন হাউজের ব্যানারে আসছে একটি নতুন ধারাবাহিক। জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত হবে এই মেগা। এই খবর প্রথম জানিয়েছিল আজকাল ডট ইন। প্রকাশ্যে এসেছিল গল্পের নায়ক-নায়িকার কথাও। ধারাবাহিকের নাম 'কনে দেখা আলো'।
এই ধারাবাহিকে দুই নারীর জীবনের টানাপোড়েন ফুটে উঠবে। জীবনযুদ্ধের দোলাচলে কোন খাতে এগোবে দু'জনের জীবন? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে আসন্ন এই ধারাবাহিকে। ভিন্ন মেরুর দুই নারীর চরিত্রে দেখা যাবে নন্দিনী দত্ত ও সাইনা চট্টোপাধ্যায়কে। প্রথম প্রোমোতেই কনের সাজে হাজির দুই নায়িকা। পরিস্থিতির পরিহাসে ঠিকানা বদলে যাবে দু'জনের। এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে প্রোমোতে। সেখান থেকেই নেটপাড়ায় ছড়িয়েছে নানা জল্পনা। কেউ বলছেন, এই গল্পের সঙ্গে হিন্দি ছবি 'লাপাতা লেডিজ'-এর মিল রয়েছে। আবার কারওর মতে, এই মেগা 'নৌকাডুবি'র অনুকরণে তৈরি।
এত জল্পনা-চর্চার মাঝে এবার মুখ খুললেন নন্দিনী দত্ত। আজকাল ডট ইন-কে অভিনেত্রী বলেন, "যখন লাপাতা লেডিজ মুক্তি পেয়েছিল, তখন দর্শক নৌকাডুবির সঙ্গে এর তুলনা টেনেছিলেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে তো সবটাই একে অন্যের সঙ্গে মিল রেখে বানানো। কিন্তু সেটা তো নয়। এই ধারাবাহিকের গল্প নৌকাডুবির থেকে অনুপ্রাণিত সেটা বলতে পারি। তবে প্রথম প্রোমোতেই স্পষ্ট যে পুরোপুরি একইরকম গল্প এখানে দেখানো হবে না। তবুও যখন তুলনা টানা হচ্ছে, তখন আমার মনে হয় মন্তব্য করার আগে দর্শকের ভালভাবে ভেবে দেখা উচিৎ।"
আরও পড়ুন: ইধিকার সঙ্গে রণক্ষেত্রে রুবেল! জি বাংলার 'মহালয়া'য় 'মহিষাসুর' রূপে ধরা দেবেন অভিনেতা?
এই ধারাবাহিকে প্রথমবার ধারাবাহিকে জুটি বাঁধছেন নন্দিনী দত্ত ও সোমরাজ মাইতি। গল্পে সোমরাজের বোনের চরিত্রে দেখা যাবে বিয়াস ধরকে। এই ধারাবাহিকে ফুটে উঠবে দুটো জুটির গল্প। নন্দিনী-সোমরাজের পাশাপাশি থাকবেন সাইনা চট্টোপাধ্যায় ও মৈনাক ঢোলকে।

নতুন এই চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে কতটা তৈরি নন্দিনী? একটু হেসে নায়িকার জবাব, "নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি, কারণ প্রতিবারই ভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে টাইপ কাস্টের একটা দিক তো সব সময় দেখা যায়। কিন্তু আমাকে এখনও পর্যন্ত এর শিকার হতে হয়নি। নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ বারবার পেয়েছি। এই চরিত্রটা আস্তে আস্তে কাছের হয়ে উঠবে বিশ্বাস করি। কারণ, আমিও এই চরিত্রটার মতোই নিজের জোরে কিছু করে দেখানোর চেষ্টায় থাকি।"
প্রোমোতেই তো পালানোর একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, পালিয়ে যাওয়াটা কি এখনকার পরিপ্রেক্ষিতে 'থ্রিলার'-এর অংশ বলতে পারি? নন্দিনীর কথায়, "সেটা অবশ্যই ছবি বা ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে। কারণ, বাস্তবে পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে যাওয়া মানে আমার কাছে হেরে যাওয়া।"
বেশ অনেক বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ হল, এখনও নতুন ধারাবাহিকের শুরুতে বুক দুরুদুরু করে? একটু থেমে নন্দিনীর জবাব, "আসলে দর্শকের ভালবাসাটা নিয়ে তো আর বাজি ধরা যায় না। সেটা অভিনেতাদের কাজের উপরে নির্ভর করে। সব কাজের শুরুতেই ভাবি, যেন মন দিয়ে চরিত্রটাকে ফুটিয়ে তুলতে পারি। তাই ভয় পাই বলব না, এই অনুভূতিটা না বলে বোঝানো যাবে না।"
টিআরপি-ই এখন ভবিষ্যৎ! চাপে থাকতে হয় শুরু থেকেই? নন্দিনী বলেন, "চাপটা নিয়ে দেখেছি কোনও লাভ হয় না। তাই আমার মনে হয় ভাল কাজ করে যাওয়াটাই আসল। লাকটা ম্যাটার করে।"
প্রসঙ্গত, গল্পে শহুরে বনলতা আর গ্রামের লাজবন্তীর জীবন বদলে যায় ঘটনার পাকচক্রে। বিয়ের প্রেক্ষাপটে লেখা এই গল্পে অদলবদল হয়ে যায় দু'জনের ভালবাসার ঠিকানা। ভবিষ্যতে সঠিক আস্তানায় ফেরত গেলেও বোঝা যায় মনের ঠিকানা ফেলে এসেছে পেছনেই। আসছে ভালবাসার বাসা বদল নিয়ে দুই নারীর জীবন বদলে যাওয়ার গল্প 'কনে দেখা আলো'। ইতিমধ্যেই বর-কনের বেশে সামনে এসেছে দুই জুটির ঝলক। গ্রামের মেয়ে 'লাজবন্তী'র চরিত্রে দেখা যাবে সাইনাকে। অন্যদিকে, 'বনলতা'র চরিত্রে দেখা যাবে নন্দিনীকে। দুই বিপরীত মেরুর নারীর জীবন কোন খাতে বইবে? সেই কাহিনিই ফুটে উঠবে ধারাবাহিকে।
