বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়। টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁর বহু বছরের। ২০২৪ এর অক্টোবর মাসে মহালয়ার ভোরেই স্বামী ফিরোজকে হারিয়েছিলেন অভিনেত্রী। স্বামীর মৃত্যুতে একেবারেই ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। তারপর থেকেই অভিনেত্রীর সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ঘটে ছন্দপতন।

 


এই দীর্ঘ এক বছর অভিনেত্রীকে দেখা যায়নি টেলিভিশনের পর্দায়। তবে এবার ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান অভিনেত্রী। তাই নতুন ধারাবাহিকের হাত ধরে প্রায় এক বছর পর টেলিভিশনের পর্দায় ফিরছেন সুভদ্রা। কোন ধারাবাহিকে ফিরছেন অভিনেত্রী?

 


সম্প্রতি জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'দাদামণি'র নতুন প্রোমো প্রকাশ্যে এসেছে। সেই প্রোমো ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মাতৃ পক্ষের এই শুভ লগ্নে নিজের হারিয়ে যাওয়া মাকে খুঁজে পেতে চলেছে সোম। সোমের মায়ের চরিত্রে দেখা মিলবে সুভদ্রার। খুব শীঘ্রই 'দাদামণি' ধারাবাহিকে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে।

 

জানা যাচ্ছে এই মেগায় সুভদ্রার চরিত্র ঘিরে রয়েছে রহস্য। প্রোমোর শুরুতেই দেখা যাচ্ছে সোমের মা জেলে বন্দি। সেখানেই বস্ত্র দান করতে গিয়ে মায়ের মুখোমুখি হয় সোম। কিন্তু মাকে ঠিক করে চিনতে পারে না সে। অন্যদিকে সোমের স্ত্রীয়ের বাবার কারণেই জেলে কাটাতে হয়েছে সোমের মাকে। ধারাবাহিকের নতুন টুইস্টর সঙ্গে সুভদ্রা কামব্যাকের খবর, ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে দর্শকমহলে।

 

আরও পড়ুন: মিমি-অঙ্কুশের সঙ্গে ‘আড়ি’! ‘অর্ডার ছাড়া বর্ডার ক্রস’ করেই দুই প্রাক্তন বন্ধুর সঙ্গে নুসরতের মিলন, মুছল সীমারেখা

 

এতদিন পর্যন্ত সোমের মাকে দেখা যায়নি গল্পে। বাবা মদ্যপ বলে চার বোনের দায়িত্ব একাই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে সোম। এক দাদার যত্নসহকারে তাঁর চার বোনকে আগলে রাখার গল্প বলছে জি বাংলার ধারাবাহিক 'দাদামণি'। দাদা 'সোম'-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রতীক সেন। মা সন্তানদের ছেড়ে চলে গেছে, আর বাবা মদ্যপ। তাই বোনেদের কাছে বাবা-মা উভয়ই সোম অর্থাৎ প্রতীক সেন। 

 


শুধু দাদা-বোনের সম্পর্কের বন্ধনই নয়, এই ধারাবাহিক বলছে মিষ্টি প্রেমের কাহিনিও। গল্পের নায়িকা পার্বতীকে ছোট থেকেই ভালবাসে সোম। কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারছেনা। বড় হয়েও সোমের ভালবাসা একইরকম পার্বতীর প্রতি। তবে এবার পার্বতীর অমতে তার বিয়ে ঠিক করে পার্থসারথি। কিন্তু ঘটনাচক্রে পার্বতীর সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় সোমের। মণ্ডপে পার্বতীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিলেও এখনও তার মন জয় করতে পারেনি সোম। 

 

 

এদিকে, গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়ায় সোম ও পার্বতীর বাবা। সোম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় শ্বশুরমশাইকে যে, ভোটে হেরে গেলে পার্বতীকে সে বাড়িতে ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু জয় হয় সোমের। পার্বতীকে আবারও বরণ করে ঘরে তোলে সোমের বড়বোন। কিন্তু পার্বতী মন থেকে কিছুতেই সোমকে, সোমের এই আচরণকে মেনে নিতে পারে না। তাকে মাঝখানে রেখে স্বামী আর বাবার এই লড়াই পার্বতী কিছুতেই মানতে পারে না। তাই সে সোমকে জানায়, ২১ দিনের মধ্যে সে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। পাল্টা সোম, পার্বতীকে বলে সে এই ২১ দিনের মধ্যেই তার মন জয় করবেই। কী হবে এবার? সোম কি পারবে পার্বতীর অভিমান ভাঙাতে? পার্বতীর মনে জায়গা করে নিতে পারবে কি সে? উত্তর মিলবে ধারাবাহিকের আগামী পর্বে।