এখন মাত্র তিন থেকে ছয় মাসে যেখানে মেগা ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেখানে জি বাংলার 'জগদ্ধাত্রী' একের পর এক কামাল করছে টিআরপিতে। নতুন মেগা আসলেও তাদের সঙ্গে জোর টক্কর দিচ্ছে মুখার্জি পরিবার। যদিও একসময়ের 'বাংলা সেরা' ধারাবাহিক এখন প্রথম স্থান পায় না। তবে প্রথম পাঁচে বরাবরই নিজের জায়গা পাকা করে এই মেগা।
মেগার গল্প এগিয়েছে বেশকিছু বছর। পরিস্থিতির শিকার হয়ে কিছুদিন আগে হুইলচেয়ারে ছিল জগদ্ধাত্রী। এদিকে, পরিবারের থেকে এতদিন দূরে ছিল জগদ্ধাত্রীর মেয়ে দুর্গা। সে বড় হয়েছে আশ্রমে। কিন্তু মার এই অবস্থার জন্য যারা দায়ী, তাদের শাস্তি দিতে পিছপা হয় না সে। জ্যাস সান্যালের মতোই সাহসী সে। প্রথমদিকে মেয়েকে চিনতে না পারলেও এখন স্বয়ম্ভূ মেয়ের পরিচয় জানতে পেরে বেজায় খুশি।

এদিকে, মাকে একটু একটু করে সুস্থ করে তুলেছে দুর্গা। জগদ্ধাত্রীর মেয়ে দুর্গা ও স্বামী স্বয়ম্ভূর জন্য এখন বিপদমুক্ত সে। বাবা-মেয়ে মিলে এখন শত্রুর মুখোমুখি হতে পিছপা হয় না। এদিকে আবারও ফোর্স জয়েন করেছে জগদ্ধাত্রী। মুখার্জি পরিবারেও নিজের জায়গা পাকা করেছে দুর্গা। একটু একটু করে বাড়ির মেয়ের জায়গাটা অর্জন করেছে সে। অন্যদিকে, নিজের জীবনেও বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে দুর্গা।
গায়ক ঋষভ মৈত্রকে মন দিয়েছে দুর্গা। তাদের প্রেম এবার এগিয়েছে বিয়ের দিকে। কিন্তু দুর্গার বিয়ের দিন ঘটে এক ভয়ঙ্কর কাণ্ড। বিয়ের সকালে দুর্গাকে দধিমঙ্গল খাইয়ে দেয় কৌশিকী। কৌশিকীর সঙ্গে ছোট থেকেই দারুণ ভাব দুর্গার। কিন্তু এই শুভ মুহূর্ত বেশিক্ষণ আর সুখের হয় না। হঠাৎই জগদ্ধাত্রীর একটা ফোন আসে। সে সমরেশকে বলে তার সঙ্গে ডিপার্টমেন্টে যেতে। জগদ্ধাত্রীর কথা শুনে আঁতকে ওঠে কৌশিকী।

সে বলে, সমরেশ তার স্বামী। কৌশিকী জানতে চায়, জগদ্ধাত্রী কোন অপরাধে তাকে গ্রেফতার করছে? দুর্গাও মাকে প্রশ্ন করে। তবে কারওর কথার জবাব দেয় না জগদ্ধাত্রী। সে স্বয়ম্ভূকে বলে সমরেশকে হিড়হিড় করে টেনে যেন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। স্বয়ম্ভূও জগদ্ধাত্রীর কথা মতো কাজ করে। তবে কি দুর্গার বিয়ের আগে ঘটবে কোনও অঘটন? বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগেই কি দুর্গার সামনে আসবে ভয়ঙ্কর কোনও সত্যি? উত্তর মিলবে ধারাবাহিকের আগামী পর্বে।
