শ্যামলী-আনিকেতের সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখতে ভালবাসেন দর্শক। টিআরপিতেও তাই দারুণ ফল করে এই মেগা। গল্প এগোচ্ছে নিত্য নতুন মোড়ে। এর মাঝেই ধারাবাহিক শেষের খবর আসছে। আগামী মাসেই নাকি শেষ হবে এই ধারাবাহিকের শুটিং। এর মাঝেই নতুন মোড় এল গল্পে।
কিছুদিন আগেই ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে, শ্যামলী ও অনিকেত ছদ্মবেশে শত্রুর মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য তৎপর হয়েছে। একটা গ্রামের মেলায় বৈষ্ণব বেশে দু'জন এসেছে। সেখানে চুপিসারে নিজেদের কাজ করছে তারা। এদিকে, শত্রুর মুখোমুখি হওয়ার আগেই মাথা ঘুরে পড়ে যায় শ্যামলী। অনিকেত পিছন থেকে তাকে তাড়াতাড়ি এসে ধরে নেয়। একটি বাড়িতেই শ্যামলীকে নিয়ে ওঠে অনিকেত। সেখানে চিকিৎসক শ্যামলীকে দেখে জানায়, সে অন্তঃসত্ত্বা।
এই খবর আসতেই জোড়াবাড়ির সবাই আনন্দে মেতে ওঠে। আর অনিকেতও নতুন সদস্যের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তোলে। এভাবেই দিন এগোচ্ছিল তাদের। মাঝপথে এসে হাজির হয়েছিল কিঞ্জলের চরিত্রও। তবে কোনওদিন অনিকেত-শ্যামলীর মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি স্থান পায়নি। বরাবরই জিতে গিয়েছে তাদের ভালবাসা।
এবার দর্শকের জন্য আসছে বিরাট চমক। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা নতুন প্রোমোয় দেখা যাচ্ছে ঘোর বিপদে শ্যামলী। তার সারা শরীর সাপের বিষে ভরে গিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সে। জ্ঞান নেই শ্যামলীর। এদিকে, চিকিৎসকরা কোনও আশা দেখাতে পারছেন না শ্যামলীর সুস্থতার ক্ষেত্রে। অনিকেত চিকিৎসকের কাছে জানতে চায় যে, কীভাবে সুস্থ হয়ে উঠবে শ্যামলী?
চিকিৎসক তাকে জানায় যে, শ্যামলীর বাঁচার আশা নেই বললেই চলে! কারণ, কোনও ওষুধ কাজ করছে না। প্রয়োজন হলে যে সাপের বিষে এরকম অবস্থা হয়েছে শ্যামলীর, সেই সাপের বিষ লাগবে তাকে সুস্থ করে তুলতে। চিকিৎসকের মুখে এই কথা শুনে অনিকেত অবাক হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সে শিবের আরাধনা শুরু করে। অনিকেত জানায়, শ্যামলীকে সুস্থ করে তোলার জন্য তাকে যদি মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয় তাহলে সে পিছিয়ে আসবে না। অনিকেত তার সিদ্ধান্তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অন্যদিকে, শ্যামলীর অবস্থাও আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কী হবে এবার? প্রোমো দেখে দর্শকের মনেও এই প্রশ্ন ঘুরছে।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই শেষ হওয়ার মুখে এই ধারাবাহিক। শেষ দিনের শুটিংও হয়ে গিয়েছে এই মেগার। টিআরপির ওঠাপড়ায় বেশ অনেকদিন ধরেই স্লট হারাচ্ছিল 'কোন গোপনে মন ভেসেছে'। আগে প্রথম দশে থাকলেও কিছু মাস ধরে এই ধারাবাহিককে টিআরপি তালিকায় কিন্তু দেখা যায়নি। তাই কি শেষ হচ্ছে এই ধারাবাহিক? যদিও সেই বিষয়ে খোলসা করেননি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ কিংবা কলাকুশলীরা। তবে বর্তমানে যেখানে মাত্র দু-তিন মাসেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নতুন শুরু হওয়া ধারাবাহিকগুলো। সেখানে বেশ ভালই ফল করেছে এই মেগা।
