আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের প্রত্যাঘাতের পর, আঘাতের চেষ্টা। তাতেও ব্যর্থতা। বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের ১৫টি শহরে হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সেই চেষ্টাকে ব্যর্থ করল ভারতীয় সেনা। জঙ্গি দমনে ভারতের বিরাট সাফল্যের পরেই, পাল্টা হামলা করবে না বলেও পাকিস্তান হামলা চালানোর পর, ভারতীয় সেনা তা রুখে দিল চরম দক্ষতায়। পাশাপাশি ভারতীয় সেনা বৃহস্পতিবার সকালে লাহোরে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেম ধ্বংস করে। বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে জানাল ভারতের প্রতিরক্ষা দপ্তর। সেনার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত পাক হামলায় পাঁচ শিশু, তিন মহিলা-সহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

 

নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কুপওয়ারা, বারামুলা,উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার এবং রাজৌরিতে আর্টিলারি শেল হামলা চালিয়েছে পাক সেনা। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পর উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কপুরতলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, ভাতিন্দা, চণ্ডীগড়, নাল, পালোধি, উত্তরলাই এবং ভুজে ড্রোন এবং মিসাইল হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, লাহোর সহ বেশ কয়েকটি স্থানে পাকিস্তানি বিমান প্রতিরক্ষা রাডার এবং সিস্টেমগুলিকে ধ্বংস করেছে ভারত। 

 

এর আগে, বুধবার রাতে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। ম্যাক্সার টেকনোলজিস কর্তৃক প্রকাশিত স্যাটেলাইট ছবিতে অপারেশন সিঁদুরের ধ্বংসযজ্ঞের বিস্তারিত দৃশ্য প্রমাণ হিসাবে সামনে এসেছে। যেখানে সুনির্দিষ্ট, পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিমান হামলা চালানো হয়েছিল পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে। এগুলি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে যুক্ত আবাসনকে টার্গেট করেছে। 

সদ্য প্রকাশিত উচ্চ-রেজলিউশনের স্যাটেলাইট ছবিতে দুটি প্রধান লক্ষ্যবস্তুর আগের এবং পরের স্পষ্ট তুলনা দেখানো হয়েছে। বাহাওয়ালপুরের কাছে মারকাজ সুবহানআল্লাহ কম্পাউন্ড এবং মুরিদকে-র নাঙ্গাল সাধনে মারকাজ তাইয়বা কমপ্লেক্স। উভয় স্থান, জেএম এবং এলইটি-র জন্য আদর্শ এবং লজিস্টিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। তবে এগুলির বর্তমান দৃশ্য এখন স্পষ্ট হয়ে সামনে উঠে এসেছে। ৭ মে-র ছবিতে ধ্বংসের পরিমাণ দেখা গেছে। সেখানে ধসে পড়া ছাদ, গর্ত এবং ধ্বংসাবশেষ সবই দেখা গিয়েছে।