আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঝোপের ধারে পড়েছিল পোড়া সুটকেস। খবর পেয়েই ছুটে যায় পুলিশ। সুটকেস খুলতেই তাদের চোখ ছানাবড়া। সুটকেসের মধ্যে ছিল দগ্ধ একটি দেহ। যেটি উদ্ধার করলেও, তদন্তের শুরুতে খুনের কোনও কিনারা পাচ্ছিল না তারা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাড়হিম হত্যাকাণ্ডের কিনারা করল দিল্লি পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির গাজিপুরে। রবিবার পোড়া সুটকেস ও দগ্ধ দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তারা। তখনই একটি গাড়ি দেখে তাদের সন্দেহ হয়। গাড়ির নম্বর দেখে মালিকের কাছে পৌঁছয় তারা। সেই যুবক জানান, কয়েক মাস আগেই গাড়িটি একজনের কাছে তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন।
তারপর গাড়ির বর্তমান মালিকের কাছে পৌঁছয় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে। পুলিশি জেরায় ওই যুবক জানা, দগ্ধ দেহটি তার তুতো বোনের। তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল যুবকের। লিভ ইন সম্পর্কেও ছিল তারা। তুতো বোন বিয়ের জন্য ক্রমাগত মানসিক চাপ দিতে থাকেন। এমনকী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে, তাঁকে বিয়ের জন্য জোর করছিলেন।
এর জেরেই তুতো বোনকে খুনের পরিকল্পনা করে যুবক। রবিবার বাড়িতে খুনের পর দেহটি সুটকেসে ভরে গাড়িতে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সে। এক বন্ধুকেও সুটকেস ফেলে দেওয়ার জন্য গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর পেট্রোল কিনে দু'জনে মিলে সুটকেস এবং দেহটি জ্বালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। খুনের ঘটনার পর দু'জনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।
