আজকাল ওয়েবডেস্ক:গ্রীষ্মের দাবদাহে বিদ্যুতের খরচ বেড়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়, তবে গুরগাঁওয়ের এক বাসিন্দা যে অভিজ্ঞতা পেলেন, তা নেটিজেনদের চমকে দিয়েছে। জয়েন হুড অ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জশবীর সিং সম্প্রতি দুই মাসের বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়েই হতবাক—পরিমাণ ৪৫,৪৯১ টাকা!
জশবীর সিং তাঁর এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে বিলের স্ক্রিনশট পোস্ট করে লেখেন—“বিদ্যুৎ বিল মিটিয়ে দিলাম, এখন মোমবাতির দিকে ঝুঁকতে ভাবছি।” এই রসিক মন্তব্যের সঙ্গে যুক্ত ছবিটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। জুন মাসে শেয়ার হওয়ার পর পোস্টটি ৭,৫০০-এরও বেশি লাইক পেয়েছে এবং অসংখ্য মন্তব্যে ভরে গেছে।
নানা প্রতিক্রিয়া ও প্রশ্ন
পোস্টটি ঘিরে ইন্টারনেটে নানা মতামত উঠে আসে। কেউ কেউ জশবীরের বাড়ির আকার, এয়ার কন্ডিশনারের সংখ্যা, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে মনে করছেন, বেশি ইউনিট খরচ মানেই বেশি বিল, এবং এ নিয়ে ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া জাগানো’র পরিবর্তে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
একজন মন্তব্য করেছেন—
“আপনার বাড়ির আকার কত বড়? কতটি এসি, লাইট, ওয়াশিং মেশিন, ড্রায়ার আছে? যত বেশি ইউনিট ব্যবহার করবেন, তত বেশি টাকা দিতে হবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয় না করলে বড় বিল স্বাভাবিক।”
বিকল্প সমাধানের প্রস্তাব
অনেকে আবার সৌরশক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। একজন লিখেছেন—
“যদি এটি আপনার নিজস্ব বাড়ি হয়, তবে সৌরশক্তিতে চলে যান। আমরা করেছি, আর খুব খুশি। একবার বিনিয়োগ করলে বছরের পর বছর সাশ্রয় হবে।”
আরেকজন উল্লেখ করেছেন—
“সবচেয়ে বেশি খরচ হয় এসির কারণে। এখন প্রায় প্রতিটি ঘরে এসি চলে, আর কেউই বন্ধ করতে চায় না। তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় এনার্জি-এফিশিয়েন্ট এসি দরকার।”
জীবনযাত্রার খরচের সঙ্গে তুলনা
কেউ কেউ বিলের পরিমাণ দেখে মন্তব্য করেছেন—
“এত টাকা অনেক জায়গায় একটি ছোট পরিবারের পুরো মাসের খরচ।”
উচ্চ বিদ্যুৎ বিলের পুরনো সমস্যা
ভারতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অসন্তোষ নতুন কিছু নয়। ভুল মিটার রিডিং, হিসাবের গলদ বা অতিরিক্ত চার্জের কারণে অনেক ভোক্তা প্রায়ই বিপাকে পড়েন। সমস্যা সমাধানে অভিযোগ করলেও অনেক সময় তা বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকে, যা ভোক্তাদের জন্য আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করে।
জশবীর সিং-এর এই ঘটনা আবারও দেখিয়ে দিল, মহানগরের উচ্চ জীবনযাত্রার খরচের বড় একটি অংশ বিদ্যুতের বিল, বিশেষত গ্রীষ্মে। তাঁর রসিক ভঙ্গির পোস্ট অনেকের হাসির খোরাক হলেও, এর আড়ালে রয়েছে একটি গুরুতর প্রশ্ন—সঠিক ও ন্যায্য বিদ্যুৎ বিল নিশ্চিত করার ব্যবস্থাপনা কতটা কার্যকর?
