আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লির একটি এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল চোর। এরপরই বাঁচার অজুহাতে সেদিন তাঁর জন্মদিন বলে দাবি করে সেই চোর! কাতর আবেদন করেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার। চোরের মুখের কথায় শেষপর্যন্ত তাঁর জন্মদিন উদযাপন করেন আবাসনের বাসিন্দারা। তারপর খবর দেওয়া পুলিশে। আপাতত শ্রীঘরে ওই চোর। 

বেনজির এই ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। ওইদিন তিনজন আবাসনের তালাবদ্ধ ফ্ল্যাটে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। সতর্ক বাসিন্দারা দ্রুত তাঁদের  লক্ষ্য করে ধাওয়া করেন। সন্দেহভাজনদের মধ্যে দু'জন পালিয়ে গেলেও তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটটিকে স্থানীয়রা ধরে ফেলেন।

চোর যখন দেখে যে হাতেনাতে ধরা পড়েছে, তখন সে বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে শুরু করে। দাবি করে যে, সেদিনই তাঁর জন্মদিন। চোরের কথায় বিশ্বাস করে আবাসনের বাসিন্দারা তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেননি। পরিবর্তে চোরের জন্মদিনের জন্য কেক অর্ডার করেন, এমনকি 'চোর' শব্দটিও লেখা ছিল কেকের উপর। চুরির চেষ্টা করার জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলির ছবিও কেকের উপর দেওয়া হয়। এছাড়াও লেখা ছিল 'শুভ জন্মদিন, চোর' আবাসিকরা চোরকে মাথায় হাত বুলিয়ে শুভেচ্ছাও জানান।  

চোর সম্ভবত আশা করেছিল যে তাঁর জন্মদিনের অজুহাতের ফলে সে মুক্তি পাবে। কিন্তু ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। জন্মদিন উদযাপন হঠাৎ শেষ হয়ে যায় যখন বাসিন্দারা শেষ পর্যন্ত তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। 

ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে চোরের আবেদন, জন্মদিনের কেক কাটা উদযাপন এবং বাসিন্দাদের মজাদার কতাবার্তা দেখানো হয়েছে। এই ভিডিও দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রতিক্রিয়া। কিছু নেটিজেন চোরের সহানুভূতি প্রকাশের ব্যর্থ প্রচেষ্টাকে উপহাস করেছেন, আবার কেউ কেউ পুরো পরিস্থিতিটিকে অপ্রত্যাশিতভাবে হাস্যকর বলে মনে করেছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, 'পুলিশ এসকর্টের সাথে জন্মদিন উদযাপন করার কী উপায়!' আরেকজনব্যঙ্গ করে লিখেছেন, 'হয়তো সে তাণর পরবর্তী চুরির আগে দু'বার ভাববে।' তৃতীয়জন মন্তব্য করেছেন, 'একজন চোর এবং একটি জন্মদিনের কেক — এটাই বইয়ের জন্য!'