আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগেও এই দাবি করেছেন বারবার। ফের এক দাবি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে ফের যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি ফেরানোর কথা। তিনি জানান, আট মাসে তিনি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছেন, অর্থাৎ গড়ে প্রতি মাসে একটি করে যুদ্ধ থামিয়েছেন তিনি। তাঁর মুখে এবার পাক-আফগান যুদ্ধ থামানোর বার্তা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বেশ কিছুদিন আগে শুরু হওয়া পাক-আফগান যুদ্ধের সমাধান হতে চলেছে শ্রীঘ্রই এবং তাঁর মধ্যস্থতাতেই। তিনি চাইলেন নাকি তুড়ি মেরে অবসান ঘটাতে পারেন যাবতীয় দ্বন্দ্বের, দাবি তেমনটাই। পাক প্রধানমন্ত্রী এবং সেনা প্রধানের প্রশস্তিও শোনা যায় তাঁর মুখে। ট্রাম্প এদিন দু' জনের নাম উল্লেখ করে বলেন, তাঁরা চমৎকার মানুষ। তিনি নিশ্চিত, যুদ্ধ থামবে শ্রীঘ্রই।
Breaking: Trump says he will get Pakistan & Afghanistan conflict 'solved very quickly'; Point, Pakistan Field Marshal Munir & Pakistan PM Shehbaz Sharif are 'great people..' & he will 'get that done quickly' pic.twitter.com/HdBOlCYqIv
— Sidhant Sibal (@sidhant)Tweet by @sidhant
এর আগেও যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে বৈঠকে বসেছে পাক-আফগান। দোহার বৈঠক সফল হয়নি সেভাবে। শনিবার বসেছে দ্বিতীয় বৈঠক। শনিবার ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বিতীয় দফা শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে, যদিও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আলোচনা শেষ হওয়ার আগে, তা ব্যর্থ হলে কী পরিণাম হতে পারে, তা নিয়ে মতামত রেখেছেন। আসিফের মন্তব্যে তুমুল সমালোচনার ঝড়। কী বলেছেন তিনি? খহাজা আসিফ জানিয়েছেন, এই দফার আলোচনা ব্যর্থ হলে, 'ওপেন ওয়ার' শুরু হবে। শিয়ালকোটে তিনি বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, এই দফার বৈঠক ব্যর্থ হলে, পাকিস্তানের আফগানিস্তানের সঙ্গে আরও ভয়ঙ্কর যুদ্ধে জড়ানো ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না। যদিও দুই দেশ শান্তি চাইছে বলেই তিনি মনে করছেন, জানিয়েছেন সেকথাও।
কাতার ও তুরস্কের যৌথ মধ্যস্থতায় পাকিস্তান-আফগানিস্তানের প্রথম দফা আলোচনা ১৮-১৯ অক্টোবর দোহায় হয়েছিল। কাতারের দোহায় বসেছিল শান্তি বৈঠক। গত রবিবার সকালে কাতার বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি জারি করে জানায়, দুই দেশ রাজি হয়েছে 'ইমিডিয়েট সিজফায়ার'-এ। তবে তার পরেও যে, শান্তি ফেরেনি, তা স্পষ্ট। উলটে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়। ফলে তার পরেই, ঠিক পরের সপ্তাহে পুনরায় বৈঠক। আফগান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রহমতুল্লাহ মুজিব এবং আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নূর আহমেদ নূরের ভাই আনাস হাক্কানি, পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করছেন দুই সদস্যের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল।
তার মাঝেই আবার সামনে এল ট্রাম্পের বড় বার্তার। জানিয়ে দিলেন, ওই দুই দেশের যুদ্ধ থামতে চলেছে তাঁর মধ্যস্থতাতেই। নিজের উদ্দেশ্য কী? কেন অন্যান্য দেশের মাঞ্ঝে মধ্যস্থায় বারবার আসেন তিনি? নিজেই এই উত্তর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানান, তিনি কেবল, যতটুকু সম্ভব, মানুষের প্রাণ বাঁচাতে ততটা করতে চান। তিনি মনে করলেন, সম্ভব হলে এই কাজটুক্লু যদি করতে পারা যায়, তিনি এর থেকে আর কিছু ভাল ভাবেন না।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কুয়ালালামপুরে ৪৭তম দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলির সংগঠন (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার নেতারা রবিবার দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতের অবসান ঘটাতে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। এবং সেই চুক্তি সাক্ষরেও হাজির ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সাক্ষরকে, 'দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সকল মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন' বলে উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার সীমান্ত বরাবর অঞ্চল কেন্দ্র করে বিবাদ দীর্ঘদিনের। কয়েক দশকে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে এলাকা। সাক্ষরিত চুক্তিতে থাইল্যান্ডের ১৮ জন বন্দি কম্বোডিয়ান সৈন্যকে মুক্তি দেওয়া এবং উভয় পক্ষকে সীমান্ত এলাকা থেকে ভারী অস্ত্র অপসারণ শুরু করার বিষয়টি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
