আজকাল ওয়েবডেস্ক: ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক নীতি নিয়ে এবার বেশ খানিকটা চাপে পড়ে গেল ভারত। ২ এপ্রিলই ভারতের উপর এই পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ভারতের ক্ষেত্রে এই হার হয়েছে ২৭ শতাংশ। 


ট্রাম্পের এই ঘোষণায় ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের জন্য ভিন্ন হারে শুল্কের ঘোষণা করেছেন। ট্রাম্প এই পদক্ষেপকে 'আমেরিকার স্বাধীনতা' বলে অভিহিত করেছেন। তবে এবার ফল ভুগতে হবে বিভিন্ন দেশকে। সেই তালিকায় ভারও রয়েছে সেকথাও বলার অপেক্ষা রাখে না। 


প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণার ফলে দাম বৃদ্ধি এবং বিশ্বব্যাপী 'বাণিজ্যিক যুদ্ধ'-এর ঝুঁকি বেড়েছে। ট্রাম্প ভারতের উপর ২৭ শতাংশ 'পারস্পরিক শুল্ক' আরোপ করেছেন। চিনের উপর ৩৪ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর ২০ শতাংশ এবং জাপানের উপর ২৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। "মেক আমেরিকা ওয়েলথি অ্যাগেইন" অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প এই ঘোষণা করেন।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একজন 'মহান বন্ধু' হিসেবে বর্ণনা করে ট্রাম্প বলেন, "ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর ৫২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ৷ সেখানে আমরা তাদের কাছ থেকে প্রায় কোনও শুল্কই নিই না। ভারত খুবই কঠোর। প্রধানমন্ত্রী আমার খুব ভালো বন্ধু ৷ কিন্তু, আপনি আমাদের সঙ্গে সঠিক আচরণ করছেন না।"


অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেন, "কয়েক দশকের শোষণের পর, মার্কিন করদাতাদের প্রতারণার যুগ শেষ হয়েছে। আমাদের দেশের করদাতারা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ৷ কিন্তু, এটি আর হবে না।"

 


ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর আমেরিকায় এখন বাংলাদেশি পোশাকের দাম ভারতীয় পোশাকের চেয়ে বেশি হবে। চিন এবং ভিয়েতনাম ইলেকট্রনিক পণ্যের বড় বিক্রেতা এবং এই উভয় দেশের পণ্যের দাম এখন ভারতীয় ইলেকট্রনিক পণ্যের চেয়ে বেশি হবে ৷ তবে আমেরিকার এই পারস্পরিক শুল্ক ভারতের রফতানির উপর তাৎক্ষণিকভাবে প্রভাব ফেলবে না ৷ কারণ, ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলির উপর ভারতের তুলনায় বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে এবং ভারতীয় পণ্য হঠাৎ করে ব্যয়বহুল হয়ে গেলেও, রফতানির উপর তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে না ৷ ইতিমধ্যে ভারত অবশ্যই পারস্পরিক শুল্কের সমাধান খুঁজে পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 


ট্রাম্প বিদেশ থেকে আসা সকল পণ্যের উপর ১০ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যে রয়েছে ভারত থেকে আসা পণ্যের উপর ২৭ শতাংশ শুল্ক, চিন থেকে আসা পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আসা পণ্যের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক এবং ব্রিটেন থেকে আসা পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক।

 


এরফলে ভারতের ওষুধ শিল্প এবং মেডিক্যাল সার্ভিসের উপর প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি বস্ত্রশিল্প, গয়না, রত্ন, পরিশোধিত জ্বালানি, আইটি পরিষেবা এবং যন্ত্রাংশরে উপরও প্রভাব পড়বে। আমেরিকাতে ভারতের যে বাজার রয়েছে সেখান থেকে এই সিদ্ধান্ত বিরাট প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।