আজকাল ওয়েব ডেস্ক: পুজো আসছে। এখন পার্লারগুলিতে চুলে রং করানোর হিড়িক শুরু হয়ে গেছে।কিন্তু জানেন কি, বাজারচলতি হেয়ার কালারগুলিতে এমন সব ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে যা আপনার শরীরের জন্য বিষ। এমনটাই দাবি করা হয়েছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। কৃত্রিম রঙগুলিতে যে রাসায়নিক থাকে তা চুলের স্বাভাবিক রং পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। চুলের গোড়ায় কমতে থাকে মেলানিন। কৃত্রিম রঙে থাকা ভারী ধাতু ও রাসায়নিক উপাদান মাথার ত্বকে ঢুকে গিয়ে বিভিন্ন রকম রোগের সৃষ্টি করে।

পাকা চুলকে ঢাকতে চুলে শুধু রং করানো হচ্ছে সেটি ভুল। কমবয়সি ছেলেমেয়েরা শখেও চুলে রং করান। এটাই এখন ট্রেন্ড।হেয়ার কালারে থাকে অ্যামোনিয়া, পাইরক্সাইডের মতো রাসায়নিক যা চুলের সঙ্গে মিশে মানুষের শরীরে ঢুকে যায়। তাতেই ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চুলে নিয়মিত রং করালে মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের ও ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।

চুলের রঙে প্রচুর অ্যামোনিয়া থাকে যা মাথার ত্বকে ঢুকে তালুতে সংক্রমণ, চুলকানি ও র‌্যাশ তৈরি করে। অ্যামোনিয়া থেকে সোরিয়াসিসের মতো মারাত্মক ত্বকের অসুখও হতে পারে।এই ধরণের রাসায়নিক বেশি শরীরে ঢুকলে তার থেকে শ্বাসজনিত সমস্যাও দেখা যায়।

কোনও রাসায়নিক চুলে ব্যবহার করলে ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই বারবার সতর্ক করেন চিকিৎসকরা।

চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ফলে, সামান্য টান লাগলেই চুল উঠে আসে। চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে।কৃত্রিম রং অ্যালার্জির অন্যতম কারণ হতে পারে।

রিসরসিনল নামে এক ধরনের রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে চুলের রঙে যা বেশিমাত্রায় শরীরে গেলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।কারণ রাসায়নিকের মাত্রা কমালেই যে বিপদ এড়ানো যাবে তা নয়।এই সব রাসায়নিক মেশানো রং চুলে লাগালে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়,চুল পড়ার সমস্যা আরও বাড়ে। বারবার বাইরে থেকে এসব রঙের ব্যবহার চুলের প্রাকৃতিক রংকেই নষ্ট করে দেয়।

সঠিক যত্ন না নেওয়ার কারণে ধীরে ধীরে চুল রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যায়।

তাই রং করার পরে সঠিক সময়ে স্পা করুন। চুল ট্রিমিং করান। নিয়মিত হট অয়েল মাসাজ করুন। চুল ভালো থাকবে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।আপনি যদি বাড়িতে নিজেই চুলের রং করেন তবে নন-অ্যামোনিয়া হেয়ার কালার ব্যবহার করুন৷ নন-অ্যামোনিয়া চুলের জন্য সবচেয়ে ভাল। চোখে জ্বালাপোড়া হয় না এবং চুলের ক্ষতি আটকায়।