আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলা খাওয়ার পর কলার খোসা ফেলে দিচ্ছেন? বিরাট ভুল করছেন! কলার খোসা ফেলবেন না! এই অবহেলার খোসাতেই বদলে দিতে পারে অনেক কিছু। 

কলার খোসায় আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, তাই এই খোসা নানা প্রাথমিক চিকিৎসার কাজে লাগে।

পোকা কামড়ালে চুলকানি ও ব্যথা হয়। একটা কলার খোসা ওই জায়গায় ঘষে দিন। সব জ্বালা কমে যাবে। মাথা ব্যথা কিছুতেই না কমলে কলার খোসা থেতো করে মাথায় কপালে লাগান। ব্যথা গায়েব হবেই। 

ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে গেলে কলার খোসার ভেতরের দিকটা ভাল করে মুখে ঘষে নিন। ১৫ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে নিয়ে দেখবেন একেবারে ঝকঝক করবে ত্বক। এমনকি ত্বকের রিঙ্কেল কমায় এই কলার খোসা। এমনকি দাঁতের হলুদ দাগ তুলতে চাইলে দাঁত ব্রাশের আগে কলার খোসা ভাল করে দাঁতে ঘষে নিন। এরপর ব্রাশ করুন। ঝকঝক করবে দাঁত।

কলার খোসা পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ। সঙ্গে বেশ কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টেরও উৎস। সব মিলিয়ে গাছের বৃদ্ধিতে সহায়ক। কলার খোসা থেকে তরল সার তৈরি করতে, তা ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন। এক সপ্তাহ কলার খোসা ভিজিয়ে রাখবেন। তারপর এক সপ্তাহ পর ছাঁকনির সাহায্যে জল ছেঁকে নিন। তবে মনে রাখবেন এই তরল সার সরাসরি জলে ব্যবহার করা চলবে না। সেক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম আছে। চার কাপ জলের সঙ্গে এক কাপ কলার খোসা ভেজানো জল মেশান। এবার এটি গাছে প্রয়োগ করুন। এটি যেমন আপনি গাছের মাটিতে দিতে পারেন, তেমন গাছের পাতাতেও স্প্রে করতে পারেন। গাছের বৃদ্ধি ও পোকা দমনে অদ্ভুত কাজ করে।

কলার খোসা নিয়ে সরাসরি ত্বকের উপর ঘষে নিতে পারেন। এতে ব্রণ, ব্রণর দাগ, শুষ্ক ত্বক, এমনকি বলিরেখাও দূর হয়ে যাবে। ১৫ মিনিট ধরে কলার খোসা ত্বকের উপর ঘষলেই উপকার পাবেন। এতে পা ফাটার সমস্যাও দূর হবে।

কলার খোসা মুখে উপর ঘষলে ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি পায়। এর জেরে ত্বক টানটান থাকে এবং বলিরেখা এড়ানো যায়।

চোখের তলার কালি দূর করতে কলার খোসার সাহায্য নিন। কলার খোসা টুকরো টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে দিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠান্ডা কলার খোসা চোখের উপর রেখে দিন। রোজ রাতে এই টোটকা মানলে ডার্ক সার্কেল উধাও হবে।