আজকাল ওয়েবডেস্কঃ আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গেই কাশি, বুকে কফ জমে যাওয়া, গলা ব্যথার মতো উপশম প্রতিটি ঘরের মানুষের সাধারণ ঘটনা। বিশেষ করে বাড়ির বয়স্কদের এই সমস্যা বেশি ভোগায় সারা শীতকাল জুড়ে। তাড়াতাড়ি অসুস্থতা থেকে রেহাই পেতে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার তাদের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।অনেকেই বিশ্বাস করেন বাজারচলতি রাসায়নিক যুক্ত ওষুধ বা অন্য কোন জিনিস ব্যবহার করার চেয়ে আয়ুর্বেদিক ও প্রাকৃতিক উপাদানই অনেক বেশি ভাল কাজ দেয়। যার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এমনই কিছু আয়ুর্বেদিক এক পানীয়ের সন্ধান এখানে দেওয়া হল যার ব্যবহারে বুকে কফ জমা বা অন্যান্য ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন সেই পানীয়।
এক টুকরো করে আদা, এলাচ ও দারচিনি নিন। সঙ্গে চার পাঁচটি লবঙ্গ ও গোটা গোলমরিচ দিন। সব উপকরণগুলো থেঁতো করে নিন। প্যানে দু'কাপ জল দিন। এক চামচ ধনেগুঁড়ো ও এক টুকরো গুড় দিয়ে দিন। গুড়কে গলে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। থেঁতো করে রাখা মশলার পেষ্ট দিয়ে দিন। ভাল করে পাঁচ মিনিট আরও ফোটাতে হবে। জল ফুটে অর্ধেক হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে শুধু বয়স্করা নয়, ছোট থেকে বড় সকলে এই পানীয় খেতে শুরু করুন। শীতে ঠান্ডা লাগা, বুকে কফ জমা, কাশি বা গলা ব্যথার মতো উপসর্গ আপনাকে ছুঁতেও পারবে না।
দারচিনির অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান ঠান্ডা লাগার ধাত, সর্দি কাশি ও গলায় ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।দারচিনিগুঁড়ো চায়ের সঙ্গে খেলে বা গরম জলে ফুটিয়ে খেলে অনেক অসুস্থতা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আদা হল মহৌষধি।তাই নানা জটিল রোগের ওষুধ হিসাবে আদাকে সবার আগে রাখা হয়।গলাব্যথা হলে চায়ে আদা থেঁতে দিতে পারেন, দ্রুত উপকার পাবেন।আবার কাশি হলে এক টুকরো আদা মুখে রাখতে পারেন, কাশির সিরাপ খাওয়ার দরকার পড়বে না।প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান অনেক রোগের থেকে রক্ষা করে। রক্তে বিটা ক্যারোটিনের মাত্রা বাড়াতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে গোলমরিচের। যাদের প্রায়ই ঠান্ডা লাগে বা হাঁচি হয় ঘন ঘন,তাঁরা যদি কয়েকটা গোলমরিচ রোজ চিবিয়ে খেয়ে নেন,উপকার পাবেনই পাবেন।
