আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ গাড়ি দুর্ঘটনায় অকালে চলে গিয়েছেন পর্তুগিজ তারকা দিয়েগো জটা। দুর্ঘটনায় তাঁর ভাইও মারা যান। প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চলছিল এবং সেখান থেকেই মর্মান্তিক ঘটনা। কিন্তু তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উঠে আসছে আরেকটি তত্ত্ব। 
সেটা কী?‌ গত বছরের ২০ অক্টোবর চেলসির বিরুদ্ধে লিভারপুলের ম্যাচ ছিল। জটাকে আটকাতে গিয়ে তাঁর বুকে হাঁটু দিয়ে আঘাত করেছিলেন চেলসির ডিফেন্ডার তোসিন আদারাবিয়ো। যন্ত্রণার কাতরাতে কাতরাতে মাঠ ছাড়তে হয় পর্তুগিজ তারকাকে। কিন্তু রেফারি তোসিনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি। মাঠে দাঁড়িয়ে তার প্রতিবাদও করেন লিভারপুলের ফুটবলাররা।


বিপক্ষের হাঁটুর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দিয়েগোর বুকের একটা বড় অংশ। তার জেরে একাধিক ম্যাচে খেলতে পারেননি। পরে মাঠে ফিরলেও চোটের সমস্যায় ভুগেছেন। তবে মরশুমের শেষে চিকিৎসা করাবেন বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পর্তুগিজ তারকা। সেই মতো মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তাঁর বুকে অস্ত্রোপচারও করানো হয়। তারপরেই চিকিৎসকের নির্দেশ ছিল, বিমানে চলাফেরা করা যাবে না এখন। তাই ইংল্যান্ড থেকে ফেরিতে চেপে পর্তুগালে যাতায়াত করতেন দিয়েগো। মৃত্যুর দিনও স্পেন থেকে এসে ফেরি ধরার পরিকল্পনাই ছিল জটার। কিন্তু পথেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। তাতেই সব শেষ।


দুর্ঘটনার দিন ভাই অ্যান্ড্রুর সঙ্গে একটি সুপারকারে চেপে যাচ্ছিলেন দিয়েগো। একটি গাড়িকে ওভারটেক করার সময়ে আচমকাই গাড়ির একটি চাকা ফেটে যায়। রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে যায় গাড়িটি, দাউদাউ করে আগুন ধরে গিয়ে গাড়িটি একেবারে চুরমার হয়ে যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্পেনের এমার্জেন্সি সার্ভিস। উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠালে দিয়েগো এবং অ্যান্ড্রুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই ফুটবল মহলে আফসোস, যদি মাঠে ওইভাবে আঘাত না লাগত তাহলে হয়তো গাড়িতে চাপতেই হতো না দিয়েগোকে!