আজকাল ওয়েবডেস্ক: যে দল ২৯ বার শিল্ড জিতেছে, ৪১ বার ফাইনালে উঠেছে, সেই দলের সঙ্গে এই ব্যবহার? মঙ্গলবার শিল্ডে নামধারীকে হারিয়ে উঠে ইস্টবেঙ্গল কোচের প্রশ্ন। আরও একবার ফাইনালে পৌঁছল লাল-হলুদ। আরও একবার ট্রফি জয়ের সামনে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাব। কিন্তু সেই দলকেই প্রথম ম্যাচ খেলতে যেতে হল কল্যাণীতে।

কল্যাণীর মাঠ সম্পর্কে লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ প্রশংসাই শুনে এসেছেন। কিন্তু শ্রীনিধির বিরুদ্ধে খেলতে নেমে তিনি দেখেন মাঠের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। মাঠ সমতল নয়, ঘাস ছাঁটা ঠিক মতো নেই, মাঠ কঠিন, ঠিকমতো জল দেওয়া হয়নি। এমন মাঠে ইস্টবেঙ্গলের পাসিং ফুটবল ধাক্কা খাচ্ছিল মাঝেমধ্যেই। পরের ম্যাচেই ইস্টবেঙ্গল খেলতে নামে কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে। 

আরও পড়ুন: হ্যান্ডশেক বিতর্কের পর 'হাই ফাইভ', পাকিস্তানের সঙ্গে দূরত্ব মেটাল ভারতীয় হকি দল...

সেখানে আবার আরেক বিপত্তি। নামধারীর ফুটবলাররা ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়দের মারধর করতে শুরু করে দিল। ম্যাচের একেবারে গোড়াতেই মিগুয়েলের মুখে মারা হয়। খেলার বয়স যত বাড়ে, ততই নামধারী ফুটবলারদের হতাশ হয়ে পা চালানো বেড়ে যায়। ঘানার ফুটবলার মাইকেল ওসেই বিশ্রী ভাবে পা চালাচ্ছিলেন। তাঁকে একবার কার্ড দেখান রেফারি। আরেকবার ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডার কেভিন সিবিয়েকে মেরেও তিনি কার্ড দেখেননি। অস্কার ব্রুজোঁ তাই বলছেন, ''যে ক্লাব ২৯ বার ট্রফি জিতেছে, ৪১ বার ফাইনালে পৌঁছেছে, সেই দলের সঙ্গে এহেন আচরণের কারণই বুঝছি না। রেফারি যদি একটু কঠিন হাতে ম্যাচ পরিচালনা করতেন, তাহলে নামধারীর দু-তিনজন ফুটবলারকে মাঠের বাইরে যেতে হত। আর আমাদের ছেলেদের কীভাবে মেরেছে ওরা গিয়ে দেখুন। গতমরশুম হলে আমাদের ছেলেরাও হয়তো নিজেদের শান্ত করতে না পেরে কার্ড দেখে ফেলত। কিন্তু এই মরশুমে ছেলেদের বলেছি, অন্যদের প্ররোচনায় পা না দিতে।''

নামধারীর শরীরী খেলায় একসময়ে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁও। তাঁর সঙ্গে দলের কোচ হরপ্রীত সিংয়ের তর্কাতর্কিও লেগে গিয়েছিল। যদিও ভদ্র ইস্টবেঙ্গল কোচ সেই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে মুখ খোলেননি। তিনি বলেন, খেলার শেষে আমার সঙ্গে উনি সৌজন্য বিনিময় করেছেন। দ্যাটস ইট। আমার ছেলেরা ভাল খেলেছে। ওদের উন্মুক্ত করে দিয়েছিল প্রথমার্ধে। ওদের আক্রমণ আমরা অঙ্কুরেই বিনষ্ট করেছি। ওরা মাত্র দু'বার আমাদের পেনাল্টি বক্সে আক্রমণ তুলতে সক্ষম হয়েছিল।''

শনিবার শিল্ডের ফাইনাল। হাতে যে কটা দিন রয়েছে, দোষ-ত্রুটি মেরামত করে নেওয়ার সময় পাবেন অস্কার।

আরও পড়ুন: বাবা, তোমাকেই দিলাম আমার ম্যাচসেরার পুরস্কার, ফাইনালও উৎসর্গ করব তোমাকেই