আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেহালা এস এস ম্যাচের বল গড়ানোর আগে ইস্টবেঙ্গলের সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছিল, বৃষ্টিভেজা দুপুরে লাল-হলুদ অঙ্গীকার।
বেহালা এস এস-কে ছ'গোল দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে যে খেলতে নেমেছেন বিনু জর্জের ছেলেরা, তখন কি কেউ আর জানতেন! ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকে বোঝা গেল ইস্টবেঙ্গল এক অন্য লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমেছে। আক্রমণ, আক্রমণ আর আক্রমণের জোয়ারে ভেসে গেল বেহালা।
মঙ্গলবার ব্যারাকপুরে ইস্টবেঙ্গল হাফ ডজন গোলে হারাল বেহালা এস এসকে। প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দিল না বিনু জর্জের দল। বৃষ্টি, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য এই ম্যাচটাই আগে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ম্যাঞ্চেস্টারে শেষদিকে ঠিক কী হয়েছিল? নতুন ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ফাঁস সত্য
কল্যাণী ডার্বিতে চিরপ্রতিপক্ষ মোহনবাগানকে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ইতিহাস থেকে দেখা গিয়েছে, ডার্বির পরের ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট দল। মঙ্গলবার সেই সব দেখাই যায়নি। ইস্টবেঙ্গল দারুণ উজ্জ্বল। সুনামির মতো বেহালা এস এস-এর রক্ষণে আছড়ে পড়ে একের পর এক ইস্টবেঙ্গল আক্রমণের ঢেউ। লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাবকে গোলের জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হয় ১৮ মিনিট পর্যন্ত।
১৮ মিনিটে তন্ময়ের কর্নার থেকে চাকু মাণ্ডির গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ। ডার্বিতে ডেভিডের গোলে ৩-২-এ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। বলা ভাল বড় ম্যাচে বিরতির সময় ইস্টবেঙ্গল এগিয়েছিল ২-০ গোলে। বিরতির পরে মোহনবাগান ২টি গোল করে সমতা ফিরিয়ে আনে। তার পরই ডেভিড এক ঝটকায় ম্যাচ নিয়ে চলে যান ইস্টবেঙ্গলের সাজঘরে। শনিবারের ডার্বিতে আরও একটি গোল করতেই পারতেন ডেভিড। কিন্তু গোলকিপারের সঙ্গে করমর্দনের দূরত্ব থেকে বল উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
এদিন দেখা গেল গোলের খিদেটা কমেনি ডেভিডের। তিনি গোল করলেন। খেলার বয়স তখন ৩০ মিনিট। ডেভিডের গোলের তিন মিনিট পরই ফের গোল। এবার মহম্মদ আশিক গোলটি করেন। বিরতির সময়ে খেলার ফল ছিল ৩-০। বিরতির পর আরও তিনটি গোল করে বেহালার কফিনে শেষ পেরেকটি পুতে দেয়।
বিরতির সময়েই ইস্টবেঙ্গল ম্যাট পকেটস্থ করে ফেলেছিল। ফলে বেহালা যে ম্যাচ ফিরবে এমন কল্পনা কেউ করেননি। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের যে রকম দাপট বজায় ছিল, দ্বিতীয়ার্ধেও তেমনই আধিপত্য বজায় রাখে লাল-হলুদ ব্রিগেড।
বিরতির পরেও ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ে বেহালার বক্সে। ৭১, ৭৪ ও ৭৫ মিনিটে আরও তিনটি গোল করেন লাল-হলুদের নাসিব রহমান, মার্ক এবং গুইতে। ডার্বি জয় আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। এই ধরনের বড় ম্যাচ জিতলে বেড়ে যায় আত্মবিশ্বাস। অতীতেও তা দেখা গিয়েছে। এখনও তা দেখা যাচ্ছে। কলকাতা লিগে ছুটছে লাল-হলুদ। ভক্তদের প্রার্থনা এই দৌড় যেন না থামে।
আরও পড়ুন: ফুটবলার থেকে এবার কোচ মেহতাব, লিগে কোন দলকে কোচিং করাবেন লড়াকু মিডফিল্ডার?
