আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক স্প্যানিশ কোচ। দুই ব্রাজিলীয় ছাত্র। গুরুর আস্থা পেলেন এক ব্রাজিলীয়। আর এক ব্রাজিলীয় ভাগ্যবিড়ম্বিত হয়ে কথা বলতে শুরু করলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে। 

অস্কার যদি গুরু দ্রোণ হন, তাহলে মিগুয়েল তাঁর ভাবশিষ্য অর্জুন। আর রবসন হলেন সেই একলব্য যিনি গুরু দ্রোণের সান্নিধ্য পেলেন না। 

রবসনের থেকে মিগুয়েল ঢের ভাল!সেই কারণেই কি বসুন্ধরা কিংসের মাঝমাঠের খেলোয়াড় মিগুয়েলকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপাল ইস্টবেঙ্গল? 

সূত্রের খবর, লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাবে মিগুয়েলের পা রাখা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। 

রবসন রবিনহো ইস্টবেঙ্গলে আসতে পারেন, এমন একটা হাওয়া ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সূত্রের খবর, রবসনকে নিয়ে কোনও সময়েই আগ্রহী ছিলেন না লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। 

যদিও মিগুয়েল ও রবসন দু'জনেই কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁর কোচিংয়ে খেলেছেন বসুন্ধরা কিংসে। সাফল্য এনে দিয়েছেন স্প্যানিশ কোচকে। আবার দুই ব্রাজিলীয়র মধ্যে মাঠেই ঝামেলা হয়েছিল। সে সব অবশ্য অনেক আগের কথা। 

নতুন মরশুমের দলগঠন করতে বসে ইস্টবেঙ্গল কোচ  রবসনের প্রতি আগ্রহ না দেখিয়ে ঝোঁকেন মিগুয়েলের প্রতি। 

ইস্টবেঙ্গলের জন্য অপেক্ষা করেও কোনও প্রস্তাব না পাওয়ায় রবসন রবিনহো কথা বলছেন মোহনবাগানের সঙ্গে। সব ঠিকঠাক থাকলে মিগুয়েলের প্রাক্তন সতীর্থ রবসন যেতে পারেন মোহনবাগানে। 

আর নতুন মরশুমে মিগুয়েলের পিঠে উঠবে ইস্টবেঙ্গলের লাল-হলুদ জার্সি। এই দেওয়ালিখন প্রায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ডার্বি ম্যাচে দুই বন্ধুর দেখা হলেও হতে পারে। 

ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কারের তালিকায় একদম উপরের দিকেই ছিলেন প্রাক্তন 'শিষ্য' মিগুয়েল। লাল-হলুদের মাঝমাঠ সামলানোর জন্য লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ ব্রাজিলীয় মিগুয়েল ছাড়া অন্য কারওর কথা ভাবেননি বলেই সূত্রের খবর। তাঁর বাঁ পা ক্ষুরধার। দারুণ পাসার। সেই সঙ্গে গোল করতেও দক্ষ। 

এএফসি কাপে মোহনবাগানের জালেও বল জড়িয়েছেন মিগুয়েল। সব দিক বিচার করে বসুন্ধরার এই ব্রাজিলীয় তারকাকে নতুন মরশুমে আনা হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলে। গুরু-শিষ্যের যুগলবন্দি ফের দেখা যাবে এদেশের মাঠে।