আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২৪ ঘণ্টা আগেই ভরা সংসার। আচমকাই ভাঙা হাট। কার্লেস কুয়াদ্রাতহীন ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনের প্রথম দিন বেশ থমথমে। সোমবার বিকেলে যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে চলে অনুশীলন। সাধারণত মিডিয়ার জন্য প্র্যাকটিসের প্রথম ১৫ মিনিট দেখার অনুমতি থাকে। কিন্তু এদিন অনুশীলনের শেষের দিকও দেখার সুযোগ মিলল। প্র্যাকটিসে ছিলেন না দিমিত্রিয়স ডিয়ামানটাকোস, সল ক্রেসপো এবং মহম্মদ রাকিপ। দু'জনের চোট। একজনের ডেঙ্গু। এই তিনজন ছাড়া বাকি ফুটবলাররা উপস্থিত ছিলেন। এদিন ইস্টবেঙ্গলের সিনিয়র দলের অনুশীলনে যোগ দেন হীরা মণ্ডল এবং মনোতোষ চাকলাদার।
এবার সঙ্গে নিজের পুরো কোচিং স্টাফ নিয়ে এসেছিলেন কুয়াদ্রাত। গত বছর থেকেই সহকারী কোচের ভূমিকায় তাঁর সঙ্গে রয়েছেন দিমাস দেলগাডো। এছাড়াও রয়েছেন কার্লোস জিমিনেজরা। প্রশ্ন ছিল, তাঁর কোচিং স্টাফকে কী আর লাল হলুদে দেখা যাবে? সোমবার বিকেলের ট্রেনিংয়ে উপস্থিত ছিলেন দিমাস সহ কার্লেসের বাকি সাপোর্ট স্টাফ। ইমামি কর্তা বিভাস আগরওয়ালও প্র্যাকটিসে এসেছিলেন। ইমামির উচ্চপদস্থ কর্তা জানান, কার্লেস পদত্যাগ করলেও তাঁর কোচিং স্টাফ আপাতত ইস্টবেঙ্গলেই থাকছে। তবে কতদিন সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ নতুন বিদেশি কোচ আনা হলে, তিনি নিজের পছন্দের কোচিং স্টাফ নিয়েই আসতে চাইবেন।
কুয়াদ্রাতের বিদায়ে অখুশি ক্লেইটন সিলভা। ব্রাজিলীয় স্টাইকার মনে করেন, কোচ বদল সমস্যার সুরাহা নয়। এটা দলে আহামরি পরিবর্তন আনবে না। মেনে নেন, তাঁরাও ভাল খেলতে পারছে না। আচমকাই কুয়াদ্রাত বিদায়ের ঘটনা ঘটায় এখনও পর্যন্ত কোনও কোচকে চূড়ান্ত করতে পারেনি ম্যানেজমেন্ট। আন্তোনিও হাবাসের সঙ্গে কথা বলে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ইন্টার কাশি থেকে ছাড়া পাবেন না বর্ষীয়ান কোচ। বিদেশিদের অগ্রাধিকার থাকলেও, দেশি কোচ যে একেবারেই কর্তাদের ভাবনায় নেই, তেমন নয়। কলকাতা লিগে বিনোর কোচিংয়ে ভাল খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। তাই শনিবার জামশেদপুর ম্যাচ উতরে দেওয়ার জন্য কেরলের কোচই ভরসা। রবিবার রাত থেকেই কোচ বদলের একটা হওয়া উঠেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সোমবার সকালে ইমামির সদর দফতরে বৈঠক বসে। সেখানেই কুয়াদ্রাতের ভাগ্য লিখন হয়।
