আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ দলবদলের বাজারে মোহনবাগানকে টেক্কা দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। সম্প্রতি বিপিন সিং ও এডমুন্ড লালরিনডিকার চুক্তির কথা ঘোষণা করেছে লাল–হলুদ। এবার এফসি গোয়ার সাইড ব্যাক জয় গুপ্তকে সই করাল ইস্টবেঙ্গল। তাদের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না করা হলেও এফসি গোয়া সোশাল মিডিয়ায় জয়ের ইস্টবেঙ্গলে আসার কথা জানিয়ে দিয়েছে।


গোয়ার ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, রেকর্ড চুক্তিতে লাল–হলুদ জার্সি গায়ে চাপাতে চলেছেন জাতীয় দলে খেলা সাইড ব্যাক। তাদের তরফ থেকে শুভেচ্ছাও জানানো হয়েছে জয়কে। কিন্তু কত টাকায় ইস্টবেঙ্গলে আসছেন তিনি? গোয়ার তরফ থেকে ঘোষণা করা না হলেও জানা যাচ্ছে যে, প্রায় দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে লাল–হলুদ শিবিরে আসছেন জয়।


এটা ঘটনা, সম্প্রতি ইস্টবেঙ্গলের সাইড ব্যাক নিশু কুমার ক্লাব ছেড়েছেন। জয় গুপ্তের আগমনে অস্কার ব্রুজোর দলের রক্ষণভাগ আরও শক্তিশালী হল। বাঁপায়ে জোরালো শট আছে ২৩ বছর বয়সি ডিফেন্ডারের। দূরপাল্লার শটে গোলও আছে তাঁর। ২০২৩ সালে গোয়ার যোগ দেন তিনি। তার আগে পর্তুগালের ক্লাব এস্তোরিল ও স্পেনের ক্লাব এব্রে এসকোলা এস্পোর্টিভায় খেলেছেন। গোয়ার হয়ে ৪২টি ম্যাচে ২টি গোলও আছে তাঁর। দলবদলের বাজারে অভিষেক সিংকেও নজরে রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল।


এদিকে আবার জানা যাচ্ছে, আর্জেন্টিনার ২৬ বছর বয়সি ডিফেন্ডার কেভিন সিবিয়েও ইস্টবেঙ্গলে নিশ্চিত। সম্প্রতি এডমুন্ডকে তিন বছরের চুক্তিতে আর মুম্বই সিটি এফসিতে খেলে আসা বিপিনকে দুই বছরের চুক্তিতে সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল।


এদিকে, কলকাতা লিগে ডার্বির আগেই হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। শেষ মুহূর্তের গোলে মামণি পাঠচক্রের কাছে ১–০ ব্যবধানে হারল বিনো জর্জের দল। পাঠচক্রের হয়ে গোল করেন ডেভিড মতলা। এখনও লিগে অপরাজিত পাঠচক্র।

 

আরও পড়ুন:‌ সামি ও ঈষানকে ছেঁটে ফেলবে হায়দরাবাদ?‌ বোলিং কোচ দিলেন বড় ইঙ্গিত ...


আগের ম্যাচে কাস্টমসের বিরুদ্ধে কোনওমতে ড্র করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ২ গোলে পিছিয়ে থেকে সমতা ফিরিয়েছিলেন প্রভাত লাকরারা। ম্যাচের পর লাল–হলুদের কোচ বিনো ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন সমর্থকদের থেকে। আর এই ম্যাচের আগে তাঁর মূল চিন্তা ছিল ক্লিনশিট না রাখতে পারা। ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে কিন্তু দুটো সমস্যার কোনওটারই সমাধান হল না। সেই একই পরিকল্পনাহীন খেলা, ডিফেন্সে সেই ফাঁকফোকর। যার সুফল তুলল পার্থ সেনের ছেলেরা। ৮৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে ছিটকে বেরিয়ে যান ডেভিড। লাল–হলুদের গোলকিপার আদিত্য পাত্র এগিয়ে এলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি।

এখানেই শেষ নয়। গোটা ম্যাচ জুড়ে চোখে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের তালমিলের অভাব। নেই কোনও স্ট্রাইকারও। সেখানে মামণি পাঠচক্র আগুনে ফর্মে রয়েছে। চার ম্যাচের চারটিতে জিতে লিগ শীর্ষে তারা। এখনও পর্যন্ত কোনও গোল খায়নি। যার নেপথ্যে গোলকিপার অর্ণব দাস। সম্প্রতি তাঁর মা প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু তারপরও মাঠে নামতে চেয়েছেন। আর গোলপোস্টের তলায় দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছিলেন তিনি। শেষের দিকে ইস্টবেঙ্গল সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ঠিক সময় বেরিয়ে এসে দলের পতন রোধ করেন তিনি। একইভাবে প্রশংসা প্রাপ্য পাঠচক্রের গোটা রক্ষণবিভাগের। সুপরিকল্পিত চক্রব্যূহে তারা আটকে দিলেন ইস্টবেঙ্গলের সমস্ত আক্রমণকে।