আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিরাট কোহলি নেই। রোহিত শর্মাও নেই এই ভারতীয় দলে। ইংল্যান্ড সফরে আসার আগেই তাঁরা টেস্ট ফরম্যাট থেকে অস্তাচলের গান গেয়েছেন। তাঁরা না থাকলেও ইংল্যান্ড-ভূমে ভারত কিন্তু তীব্রতা নিয়ে ক্রিকেট খেলছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছেন একজন। তিনি মহম্মদ সিরাজ। একথা বলেছেন স্বয়ং নাসের হুসেন।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ডেইলি মেল-এ নিজের কলামে লিখেছেন, ''ক্রিস ওকস চোট পেয়ে গেল। একমাত্র ফাস্ট বোলার হিসেবে সিরাজ কিন্তু খেলে যাচ্ছে নাগাড়ে। স্পেলের পর স্পেল করে চলেছে।''
সিরাজ দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিচ্ছেন। ঝাঁজালো ব্যাপারটা আনছেন ক্রিকেটে। নাসের হুসেন বলছেন, ''সিরাজের মতো একজন ক্রিকেটারকে পছন্দ করবে সব অধিনায়কই। দলকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায় ও। চাঙ্গা করে দেয় সবাইকে। আমি যখন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ছিলাম তখন ড্যারেন গঘ এরকম ধরনের ক্রিকেটার ছিল। সিরজাও তেমনই এক ক্রিকেটার ভারতের।''
আরও পড়ুন: গিল আর ইতিহাসের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না তো বৃষ্টি? আজ কী বলছে ওভালের আবহাওয়া, জানুন বিস্তারিত
গোটা সিরিজে ভারতীয় দল লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। অপেক্ষাকৃত নতুন একটা দল নিয়ে এবার ইংল্যান্ডে এসেছিলেন শুভমান গিল। অধিনায়ক হিসেবেও তিনি নতুন। সেই দল কিন্তু ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে রীতিমতো বেগ দিয়েছে। নাসের হুসেন বলছেন, ''গোটা সিরিজে ভারত দল হিসেবে যে চরিত্র দেখিয়েছে এবং যে লড়াই তুলে ধরেছে তাতে আমি মুগ্ধ।''
ইংল্যান্ডের নটি ইনিংসে সিরাজ ১৫৫-র বেশি ওভার করেছেন। তবুও শারীরিক দিক থেকে ভেঙে পড়েননি। এর পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকেই ট্রোলিং করা হবে। অটোচালকের ছেলে বলে তাঁকে অসম্মানিত হতে হবে।
কিন্তু জশপ্রীত বুমরাহ নামের মহীরূহ না থাকলে মহম্মদ সিরাজই দেশকে রক্ষা করবেন। তিনি প্রতিপক্ষকে ভাঙবেন, বিপক্ষের ব্যাটিং লাইন আপকে মচকাবেন, কিন্তু পাদপ্রদীপের আলো তাঁর জন্য নয়। তিনি নায়ক কোনওদিনই হবেন না। পার্শ্বনায়ক হিসেবেই তাঁকে থেকে যেতে হবে চিরকাল।
অথচ বুমরাহ না থাকলে সিরাজই ভারতের রক্ষাকর্তা। ওভালে আরও একবার তা প্রমাণিত হল। ওভালে সিরাজ নিলেন চার-চারটি উইকেট। বুমরাহ ছাড়া ভারতের বোলিং লাইন আপ অনভিজ্ঞ। অনভিজ্ঞতায় মোড়া এই বোলিং শক্তির নেতা মহম্মদ সিরাজই।
বুমরাহ না থাকলেই তিনি জ্বলে ওঠেন। সাংবাদিকদের অবশ্য সিরাজ বলছেন, ''এটা আবার আপনারা মনে করবেন না যে বুমরাহর অনুপস্থিতিতেই আমি ভাল খেলি।''
দেশের জন্য নিজেকে নিংড়ে দেন সিরাজ। বুমরাহ ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য পাঁচটা টেস্টের সবক'টি খেলেননি। একমাত্র সিরাজ কিন্তু টানা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচই খেলছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এতদিন ছিলেন ক্রিস ওকস। ইংল্যান্ডের সেই বোলারও পঞ্চম টেস্টে ছিটকে যান ওভাল টেস্ট থেকে। ফলে দু'দলের মধ্যে সিরাজ একাই পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলছেন। অনেকেই মনে করেন সিরাজ নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার ফলে খুব তাড়াতাড়ি ক্ষয়ে যাচ্ছেন, শেষ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি তো মহম্মদ সিরাজ। বাইরের কথায় তিনি কর্ণপাত করেন না। তিনি তাঁর কাজ করে চলেন।
How Siraj fooled Crawley in the last over?
— Aditya Saha (@Adityakrsaha)
There was usual delay happening as the clock was ticking. Jaiswal was sent in deep at square leg position which Crawley saw. He was anticipitating a short ball but Siraj surprised him with a perfect yorker which he wasn't prepared for. pic.twitter.com/hZV25ibUeDTweet by @Adityakrsaha
সিরাজ তাঁর পারফরম্যান্স দিয়ে নাক উঁচু ইংরেজদের শ্রদ্ধা আদায় করে নিয়েছেন।
