আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগের মরশুমে ছিল গোলের খরা। আইএসএলের সর্বোচ্চ গোল সংগ্রহকারীর থেকে প্রত্যাশা মতো পারফরম্যান্স পায়নি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এবার বছরের প্রথম টুর্নামেন্ট থেকেই গোলের মধ্যে। ডিয়ামানটাকোসের জোড়া গোলে ডার্বি জয়। হঠাৎ এত আমূল পরিবর্তন কীভাবে? তার রহস্য ফাঁস করলেন অস্কার ব্রুজো। দাবি করেন, মাঝেমধ্যে প্লেয়ারদের তাতিয়ে দিতে হয়। তাতেই ফল মেলে। অস্কার বলেন, 'দিমির মতো প্লেয়ারের মাথা এবং মনের সঙ্গে মাঝেমধ্যে খেলতে হয়। আমি ওর অভিব্যক্তি দেখতে চেয়েছিলাম। যা অসাধারণ ছিল। প্রথমে পেনাল্টি থেকে আমাদের এগিয়ে দেয়। তারপর দ্বিতীয় গোল করে। আশা করছি এবার আমরা দিমিকে সেরা ফর্মে পাব।'
দীর্ঘ বছর পর মরশুম শুরু থেকেই মশাল জ্বলেছে। ইস্টবেঙ্গলের অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটছে। চলতি মরশুমে দলকে কোথায় দেখছেন অস্কার? ডুরান্ড কাপের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ কি খেলে ফেলেছেন? পেতে শুরু করেছেন মরশুমের প্রথম ট্রফি জয়ের গন্ধ? লাল হলুদের এই অপ্রতিরোধ্য পারফরম্যান্সে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু এখনই ডার্বি জয়ের আনন্দে গা ভাসাতে চান না ইস্টবেঙ্গল কোচ। অস্কার বলেন, 'আমাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ কোয়ার্টার ফাইনাল ছিল। সেটা আমরা উতরে গিয়েছি। এবার রিকোভার করার সময়। আমরা কি করতে চাই, বা কোথায় পৌঁছতে চাই, এখনই বলা যাবে না। এটা তার সময় নয়। আমরা টুর্নামেন্টের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ খেলে ফেললাম কিনা জানি না। তবে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলে ফেলেছি। আজ আমরা মাঠে সেরা দল ছিলাম। জানতাম বিরতির পর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করবে মোহনবাগান। পেনাল্টি পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাইবে। আমরা এক গোল হজম করার পর, প্লেয়াররা একটু ঘাবড়ে গিয়েছিল। তারপর কিছুক্ষণ একটু নড়বড়ে হয়ে যায়। তবে আমরা ওদের আটকে রাখতে সক্ষম হই। আমাদের সেটপিসে আরও খাটতে হবে। তবে এখনই ট্রফির গন্ধ পাচ্ছি না। শুধু সেমিফাইনাল নিয়ে ভাবছি।'
অস্কার জানিয়ে দেন, প্রতিপক্ষের উইং প্লে বন্ধ করে দেওয়াই তাঁর স্ট্র্যাটেজি ছিল। এডমুন্ড এবং বিপিনের সংযোজন দলের শক্তি বাড়িয়েছে। ম্যাচের শুরুতেই পেশিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন হামিদ। তবে অস্কারের ধারণা, চোট গুরুতর নয়। আগামীকাল পরীক্ষা হবে। এদিকে ডার্বি জয় রশিদের পরিবারকে উৎসর্গ করলেন সল ক্রেসপো। আগের দিনই লাল হলুদ শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁরা রশিদের জন্য জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। ডার্বি জয়ের পর ক্রেসপো বলেন, 'রশিদ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই জয় ওকে উৎসর্গ করছি। আমরা ওর এবং ওর পরিবারের পাশে আছি।' আগের বছর চোটের জন্য অর্ধেক মরশুম মাঠের বাইরে কাটাতে হয়। কিন্তু এবার প্রথম থেকেই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এবার লক্ষ্যে পৌঁছনোর বিষয়ে আশাবাদী। ক্রেসপো বলেন, 'এবছর এই দল নিয়ে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।' সাত দিনের মধ্যে তিনটে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে হবে। বুধবার ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল। জিতলে শনিবার ফাইনাল। তাই সোমবার ফুটবলারদের পুরোপুরি বিশ্রাম দেন অস্কার। একদিনের প্রস্তুতিতেই কিবু ভিকুনার দলের বিরুদ্ধে শেষ চারের লড়াইয়ে নামবে ইস্টবেঙ্গল।
