আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সন্দীপ নন্দী। অভিযোগ করেছেন একাধিক। কোচ অস্কার ব্রুজো নাকি তাঁকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেননি। শিল্ড ফাইনালের আগে ফুটবলারদের নাকি তিনি পেনাল্টি অনুশীলন করাননি। এমনকী অস্কার ব্রুজো ম্যাচ শেষে পরিস্কারই বলেছিলেন সাপোর্ট স্টাফদের কথা শুনে গিলকে বসিয়ে দেবজিতকে নামিয়েছিলেন। ব্রুজো জানান সাপোর্ট স্টাফদের কথায় তিনি নাকি পেনাল্টি বিশেষজ্ঞ।


সন্দীপ নন্দী পদত্যাগ করেছেন। একরাশ অভিযোগ নিয়ে। এই অভিযোগ তিনি চিঠির আকারে পাঠাবেন ইমামি ম্যানেজমেন্ট, আইএফএ, ক্রীড়ামন্ত্রী ও এফপিএ–র কাছে। এতে বিতর্ক বাড়বে বই কমবে না। এই বিষয়ে দুই ভাগ লাল হলুদ সমর্থকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লাল হলুদ সদস্য জানাচ্ছেন, ‘‌দাদা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করি। অন্যত্র যাওয়ার আগে যদি পুরনো সংস্থাকে গাল দিই। সেটা তো ভাল নয়। তাই না। সন্দীপ নন্দীর কিছু বলার থাকলে আগেই বলতে পারতেন। এভাবে সবার সামনে ক্লাবকে কেন অসম্মান করলেন। কেনই বা কোচকে।’‌ শিল্ডজয়ী মোহনবাগান সদস্য বলছেন, ‘‌একদমই। কেন এরকম হবে। এটা তো আমাদের ক্লাবেও হতে পারত। অভিমান রাগ থাকতেই পারে। তাই বলে এভাবে কেন বিষোদগার!‌’‌

 

আরও পড়ুন:‌ ‘অনেক হয়েছে’, মহসিন নাকভিকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে দিল বিসিসিআই, এশিয়া কাপের ট্রফি না দিলে এবার নেওয়া হবে এই পদক্ষেপ


এটা ঘটনা দলের সঙ্গে গোয়া গিয়েছিলেন সন্দীপ। তারপরেই হয়ত ঝামেলার সূত্রপাত। তিনি পদত্যাগ করে কলকাতা চলে এসেছেন। যাঁকে নিয়ে এত ঘটনার সূত্রপাত সেই দেবজিৎ মজুমদারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়নি। তবে লাল হলুদ সমর্থকরা বলছেন, ‘‌এটা বিষয়টা আসলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেরই ক্ষতি করবে। টানা প্রায় চার বছর শুধু ডার্বি হেরেছি। যখন একটু মাথা তুলতে শুরু করেছি, তখনই এই বিষয়ের সূত্রপাত। আর নেওয়া যাচ্ছে না।’‌ মোহন সদস্যরা কিন্তু এই বিষয়টা তারিয়ে উপভোগ করছেন না। বলেই দিচ্ছেন, ‘‌মোহন–ইস্ট আছে বলেই বাংলার ফুটবল জিন্দাবাদ।’‌