আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রথম ম্যাচ শান্তিপূর্ণ হলেও, সুপার ফোরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধুমাত্র বাইশ গজে সীমিত থাকেনি। শাহিবজাদা ফারহান এবং হ্যারিস রউফের আচরণ নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। পাকিস্তানের দুই প্লেয়ারের কাণ্ডকারখানার সমালোচনা করেন ক্রিকেট পণ্ডিতরা।‌ ভারত-বাংলাদেশ সুপার ফোর ম্যাচের আগের দিন এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয় শাহিন আফ্রিদিকে। পাকিস্তানের তারকা পেসার জানান, মাঠের সেলিব্রেশন নিয়ে বেশি মাতামাতি করা উচিত নয় পাকিস্তান দলের। কারণ ওরা ক্রিকেট খেলতে এসেছে। শাহিন আফ্রিদি বলেন, 'দেখুন, আমাদের কাজ ক্রিকেট খেলা। তবে সত্যি বলতে, সবার নিজেদের মেলে ধরার অধিকার আছে। সবার নিজস্ব চিন্তাভাবনা আছে। সবার সম্মান আছে। সবাই নিজের মতো করে ভাবে। তবে আমাদের আসল উদ্দেশ্য, ক্রিকেট খেলা। আমরা এখানে এশিয়া কাপ জিততে এসেছি। দল হিসেবে আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি।' 

এশিয়া কাপে ভারতের কাছে পরপর দুটো ম্যাচে হেরেছে পাকিস্তান। আবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হতে পারে ভারত-পাকিস্তান। রবিবার খেতাবি লড়াইয়ে আবার দুই দল মুখোমুখি হলে, ভারতকে হারানোর বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী শহিদ আফ্রিদির জামাই। শাহিন বলেন, 'ওরা এখনও ফাইনালে যায়নি। দেখব ওরা কবে ফাইনালে যায়। আমরা এখানে এসেছি ফাইনাল এবং এশিয়া কাপ জিততে। যেকোনও দলের জন্য আমরা প্রস্তুত। আমরা ওদের হারিয়ে দেব।' বাঁ হাতি পেসার মেনে নেন, সম্প্রতি সেরা দলগুলোর বিরুদ্ধে বেশি ম্যাচ জেতেনি পাকিস্তান। তবে সেই ধারা বদলাতে বদ্ধপরিকর। শাহিন বলেন, 'মানছি আমরা বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে জিতিনি। আমরা হয়ত ব়্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছি। কিন্তু বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে খেললে আমরা জিতব। আমরা বড় দলগুলোর সঙ্গে লড়াই করব।' এশিয়া কাপে ভারতের কাছে জোড়া ম্যাচ হারলেও, এবার সূর্যদের হারাতে তৈরি আফ্রিদিরা। 

প্রসঙ্গত, রবিবার এশিয়া কাপে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানকে হারানোর পর সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্যকুমার যাদব হাসিমুখে বলেন, দুই দেশের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আর ক্রিকেটীয় পরিভাষায় সেরা লড়াই বলা যায় না। সোশ্যাল মিডিয়ায় সূর্যকে পূর্ণ সমর্থন হরভজন সিংয়ের। তবে সঙ্গে একটু মশকরা জুড়ে দেন। শুভমন গিল এবং অভিষেক শর্মার হ্যারিস রউফের সঙ্গে তর্কাতর্কির একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন প্রাক্তন স্পিনার। তার ক্যাপশনে লেখেন, 'একতরফা লড়াই। চক দে ইন্ডিয়া।' সঙ্গে হাসির ইমোজি দেন। প্রথমে 'সেরা দ্বৈরথ' লিখেছিলেন ভাজ্জি। পরে 'সেরা' শব্দটি সরিয়ে দেন। পরিসংখ্যান সবকিছু বলে দিচ্ছে। টি-২০ তে মোট ১৫ বার দুই দেশের সাক্ষাৎ হয়েছে। তারমধ্যে ১২ বার জিতেছে ভারত। ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপের পর থেকে সাদা বলের ক্রিকেটে টানা সাতবার পাকিস্তানকে হারায় ভারত। গত কয়েক বছরে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য আরও বেড়েছে। দলের কয়েকজনের অবসরের পর আরও সমস্যায় পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান। এশিয়া কাপের দুই সাক্ষাৎ তার প্রমাণ।