আজকাল ওয়েবডেস্ক: বড় নজির গড়ে ফেললেন পাকিস্তান পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ত্রিনিদাদে সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচটি পাঁচ উইকেটে জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। ওই ম্যাচে একটি নজির গড়েছেন পাক পেসার আফ্রিদি। চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। আর তারই সুবাদে ৬৫ একদিনের ম্যাচে তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৩১। একদিনের আন্তর্জাতিকে ৬৫ ম্যাচ খেলে এত উইকেট নেওয়ার রেকর্ড কারও নেই। এই রেকর্ড আগে ছিল আফগান স্পিনার রশিদ খানের দখলে। তিনি ৬৫ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১২৮ উইকেট। সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন পাক পেসার শাহিন আফ্রিদি।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছিল ২৮০। ৪৮.৫ ওভারেই সেই রান তুলে দেয় পাকিস্তান। জয় আসে পাঁচ উইকেটে। আফ্রিদি ৫১ রানের বিনিময়ে চার উইকেট পান।
এদিকে, এশিয়া কাপে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত–পাক ম্যাচ হওয়া নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এরপর সুপার ফোর এবং ফাইনালেও মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। টুর্নামেন্ট শুরু হতে মাত্র এক মাস বাকি। কিন্তু এখনও হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। এবার এই ম্যাচ প্রসঙ্গে বড় আপডেট দিলেন এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের চিফ অপারেটিং অফিসার শুভান আহমেদ।
এমিরেটস বোর্ডের কর্তা মনে করেন, এশিয়া কাপে একে অপরের মুখোমুখি হতে কোনও সমস্যা হওয়া উচিত নয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর। শুভান আহমেদ বলেন, ‘আমি গ্যারান্টি দিতে পারব না। তবে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ না হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এশিয়া কাপের তুলনা প্রাইভেট টুর্নামেন্টের সঙ্গে করা উচিত নয়। যেমন কিংবদন্তিদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় দল লিগ পর্ব এবং সেমিফাইনালে খেলতে চায়নি।’ দুবাই এবং আবু ধাবিতে হবে এশিয়া কাপ। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর চলবে টুর্নামেন্ট। ফাইনাল সহ দুবাইয়ে ১১টি ম্যাচ হবে। ৮টি হবে আবু ধাবিতে। ১০ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। দুটো ম্যাচই দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। ১৯ সেপ্টেম্বর ওমানের বিরুদ্ধে ম্যাচ আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে।
প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণার পর থেকেই সমালোচনার মুখে বিসিসিআই। ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত–পাকিস্তান মুখোমুখি। পরের রাউন্ডে গেলে আবার সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। পহেলগাঁও জঙ্গিহানার পর দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হওয়া এড়ানো যেত। কিন্তু সেটা করা হয়নি। কিন্তু লিজেন্ডসদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। একাধিক ভারতীয় প্লেয়ার ম্যাচ খেলতে বেঁকে বসে। যার ফলে ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়। সেমিফাইনালেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে চায়নি ভারত। ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্সরা না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও খেলতে চায়নি ভারতীয় কিংবদন্তিরা। পাকিস্তান ম্যাচ বয়কট করেন যুবরাজ সিং, শিখর ধাওয়ান, ইউসুফ পাঠান, ইরফান পাঠান, পীযূষ চাওলারা। একই পরিণতি সেমিফাইনালের। মাঠে নামেনি ভারতীয় দল। ফলে ফাইনালে চলে যায় পাকিস্তান। এশিয়া কাপে অবশ্য তেমন সম্ভাবনা নেই। যাই হোক না কেন, সেটা আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে যাবে। এখনও পর্যন্ত ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ নির্ধারিত দিনেই হওয়ার কথা আছে।
