আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ অতীত। এবার আবার সাদা বলের ক্রিকেটে ফোকাস ফিরবে। চলতি মাসে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোনও ক্রীড়াসূচি নেই। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ। কিন্তু সেটা ২০ ওভারের ফরম্যাটে। তাই বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মাকে আবার মাঠে দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে অক্টোবর পর্যন্ত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হবে দুই মহারথীর। গতবছর টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পর একইসঙ্গে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটকে বিদায় জানান রো-কো জুটি। ইংল্যান্ড সিরিজের আগে লাল বলের ক্রিকেট থেকেও অবসর নেন দুই তারকা। শুধুমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলা চালিয়ে যাবেন। ২০২৭ সালে বিশ্বকাপ। সেটাই পাখির চোখ করতে চাইছেন বিরাট এবং রোহিত। তবে বর্তমান ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে খুব বেশি একদিনের ম্যাচ নেই। তাই বাইশ গজে খুবই কম সময় দেখা যাবে দুই কিংবদন্তিকে।
অস্ট্রেলিয়ায় তাঁদের প্রত্যাবর্তন সিরিজে অন্য মাত্রা যোগ করবে। কারণ ক্যাঙ্গারুরদের দেশেই শেষ টেস্ট খেলেন রোহিত এবং বিরাট। ১৯ অক্টোবর পারথে প্রথম একদিনের ম্যাচ। ২৩ অক্টোবর অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ম্যাচ। ২৫ অক্টোবর সিডনিতে শেষ ম্যাচ। আইকনিক জুটিকে আবার মাঠে দেখার অপেক্ষায় ফ্যানরা। লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর এই প্রথমবার মাঠে নামবে তারকা জুটি। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সময় রোহিত জানান, একদিনের ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন। কোহলি জানিয়েছিলেন, ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত একদিনের ক্রিকেট খেলতে চান তিনিও। ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ চলাকালীন লর্ডসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাজীব শুক্লা। বোর্ডের সহ সভাপতি জানান, একদিনের সিরিজের জন্য দু'জনকেই পাওয়া যাবে।
রাজীব শুক্লা বলেন, 'আমি একটা জিনিস স্পষ্ট করে দিতে চাই। আমরা সবাই রোহিত এবং বিরাটকে মিস করি। কিন্তু ওরা নিজেরাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিসিসিআইয়ের নীতি অনুযায়ী আমরা কোনওদিন কোনও প্লেয়ারকে বলি না কোনও নির্দিষ্ট ফর্ম্যাট থেকে অবসর নিতে। এটা প্লেয়ারের ওপর নির্ভর করে। ওরা দু'জন নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা ওদের সবসময় মিস করব। ওরা গ্রেট ব্যাটার। ওদের একদিনের ক্রিকেটের জন্য পাওয়া আমাদের জন্য ভাল।' আগস্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ হওয়ার কথা থাকলেও সেটা বাতিল হয়েছে। যার ফলে সরাসরি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলতে দেখা যাবে রোহিত, কোহলিকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগে লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন রোহিত। তার পাঁচদিনের মাথায় অবসর নেন কোহলি। রোহিতের অবসর নিয়ে কারোর তেমন হেলদোল না থাকলেও, বিরাটকে পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানায় বোর্ড। কিন্তু তারকা ক্রিকেটার তোয়াক্কা করেনি। বন্ধু রোহিত শর্মার মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় অবসরের সিদ্ধান্ত জানান। ভেঙে দেন ভক্তদের হৃদয়।
