আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতায় আসার পর থেকে শুধুই তিরস্কার জুটছিল। সম্পূর্ণ ম্যাচ ফিট হয়ে মাঠে নামতে কিছুটা সময় লাগে। তারপর শুরুতে গোল পাচ্ছিলেন না। কার্লেস কুয়াদ্রাত জমানায় খুব বেশি ম্যাচ টাইমও পাননি। গত আইএসএলের সর্বোচ্চ গোলদাতার মান‌ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আরও বড় প্রশ্ন ছিল, গত বছরের চোট নিয়েই কি লাল হলুদে সই করেছেন? শেষমেষ জবাব দিলেন দিমিত্রিয়স ডিয়ামানটাকোস। ভুটানে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রত্যেক ম্যাচে গোল করলেন গ্রিক স্ট্রাইকার। তিন ম্যাচে তাঁর গোল সংখ্যা চার। তারমধ্যে রয়েছে এএফসির ইতিহাসে দ্রুততম গোল। যা বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ৩৪ সেকেন্ডে করেছিলেন দিমি। শুক্রবার মরণ-বাঁচন‌ ম্যাচে করলেন জোড়া গোল। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইস্টবেঙ্গলকে এনে দিলেন স্বপ্নের জয়। 

দলকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত গোল পেয়ে খুশি ডিয়ামানটাকোস। বিশেষ করে লেবাননের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ নেজমার বিরুদ্ধে জোড়া গোল পেয়ে। ম্যাচ শেষে দিমিত্রিয়স বলেন, 'আমাদের কাছে ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল। আর কোনও বিকল্প ছিল না। জিততেই হত। হারলে বা ড্র করলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে পারতাম। সেটা মাথায় রেখেই আমরা মাঠে নেমেছিলাম।' আইএসএলে টানা ব্যর্থতার পর আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই সাফল্যে তৃপ্ত ইস্টবেঙ্গলের গ্রিক স্ট্রাইকার। দিমিত্রিয়স বলেন, 'আমরা যখন এখানে খেলতে এসেছিলাম, ভাল জায়গায় ছিলাম না। পরপর ম্যাচ হেরেছিলাম। আমাদের ওপর একটা চাপ ছিল। সেখান থেকে এই জায়গায় যেতে পেরে খুশি। দলের সাফল্যে আনন্দিত। গোল করে দলকে জেতাতে পারায় ভাল লাগছে।' উৎসবের মাঝে সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন দিমি। এবার তাঁকে নিয়ে স্বপ্নের জাল বোনা শুরু হবে। ভুটান থেকে ফিরেই আবার ফোকাস আইএসএল। ৯ নভেম্বর মহমেডানের বিরুদ্ধে নামবে লাল হলুদ। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের এই সাফল্যে হয়তো সেদিন এক অন্য ইস্টবেঙ্গলকে দেখা যাবে। মিনি ডার্বি থেকেই আইএসএলে ঘুরতে পারে অস্কার ব্রুজোর দলের ভাগ্যের চাকা।