আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাওড়া গোলাবাড়ির ব্যবসায়ী রহিত সাউ গতকাল রাতে চন্দননগর থেকে লোকাল ট্রেনে হাওড়া ফিরছিলেন। উত্তরপাড়া স্টেশনে ট্রেন থামার পর ছাড়তেই তাঁর হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে নেমে পড়ে এক যুবক। তখন ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। ব্যবসায়ী চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ মেরে নামতে গিয়ে পড়ে যান। উঠে ছিনাতাইকারীকে ধাওয়াও করেন। কাছাকাছি পৌঁছে তাকে ধরতে গেলে, ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী। 

 

প্ল্যাটফর্মে পরে গিয়ে মাথায় চোট পান ব্যবসায়ী। তারপরও উঠে ছিনতাইকারীর পিছু নেন।স্টেশনের কাছেই জনা তিনেক যুবক তখন আড্ডা দিচ্ছিলেন। তাঁদের বলেন সাহায্য করতে। বাইক নিয়ে ছিনতাইকারীকে ধরার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু একটি গলিতে ঢুকেই অন্ধকারে মিলিয়ে যায় ছিনতাইকারী। পরে ওই যুবকরাই আহত ব্যবসায়ীকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য।

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি মোবাইল ছিনাতাইয়ের ঘটনা ঘটায় উত্তরপাড়ায় চিন্তিত নাগরিকরা। 

 

আরও পড়ুন: 'বাংলায় সভা করে চেঁচামেচি করেন, কিন্তু ফল পান না', মোদিকে খোঁচা সাংসদ রচনার

 

অন্যদিকে চুঁচুড়া থানার অন্তর্গত ব্যান্ডেল কৈলাস নগরে অনুষা রায় নামে এক যুবতীর ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ যুবতী তাঁর মেয়েকে প্রাইভেট টিউশনে পড়াতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এক বাইক আরোহী সে সময় দ্রুত গতিতে এসে তাঁর ব্যাগ ধরে টান মারে। মুহূর্তের মধ্যে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। 

 

ব্যাগের মধ্যে মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড, আধার, প্যান কার্ড, বাড়ির চাবি ছিল। যুবতীর চেঁচামেচিতে এলাকার লোক জড়ো হয়ে যায়। ততক্ষণে যদিও দুষ্কৃতী এলাকা থেকে পালিয়েছে। তারপর ব্যান্ডেল ফাঁড়িতে গিয়ে অভিযোগ জানান অনুষা। তিনি বলেন,কালো বাইক নিয়ে এসেছিল ওই যুবক। ছাই রঙের গেঞ্জি পরা, মুখে চাপ দারি। মাথায় হেলমেট ছিল না। 

 

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালাচ্ছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। পাড়ার মধ্যে এভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভয় পেয়েছেন কৈলাশ নগরের বাসিন্দারা। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। 

 

প্রসঙ্গত, গত মে মাসে ডাকাতির ছক ভেস্তে দিয়েছিল হুগলি জেলার পুলিশ। হাতেনাতে ধরা পড়ে চার দুষ্কৃতী। উদ্ধার হয় দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, মোটরবাইক। মগরা থানার বড়সর সাফল্য। ঘটনাটি ঘটেছিল বিটিপিএস ছাইখাদ সংলগ্ন এসটিকেকে রোড সংলগ্ন এলাকায়। ডাকাতির উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়েছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মগরা থানার আইসি দীপঙ্কর সরকারের নেতৃত্ত্বে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করে চার দুষ্কৃতীকে।

 

ধৃত দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে একটি দেশি পাইপগান, দু’টি তাজা কার্তুজ, একটি ভোজালি, একটি লোহার রড, একটি ধারালো ছুরি ও মুখ ঢাকার মাস্ক উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি একটি সন্দেহভাজন নম্বরপ্লেট যুক্ত মোটরবাইকও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ধৃত চারজন ওই এলাকায় কোনও বড় অপরাধের ছক কষছিল। এই ঘটনায় মগরা থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। 

 

ধৃতদের নাম বসুদেব হালদার (৫১) বাড়ি বেনীপুর মধ্যহেড়িয়া, হাবরা, উত্তর ২৪ পরগনার। মনিরুল শেখ ওরফে রাজু (৩৮), বাড়ি ঘুটিয়ারি শরিফ মাঝেরপাড়া জীবনতলা,দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তারক বিশ্বাস ওরফে বটন (৩৫)রেলগেট কলোনি, ত্রিবেণী, মগরা, হুগলি এবং জেলিয়াখালি, সন্দেশখালি, উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা খাদেম মোল্লা ওরফে আবু বকর মোল্লা (৩৯)। পুলিশ সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, ধৃতরা আগেও একাধিক ডাকাতি, ছিনতাই, অবৈধ অস্ত্র রাখা ও মাদক পাচারের ঘটনায় যুক্ত ছিল।