আজকাল ওযেবডেস্ক: ব্যাঙ্কের সুদের হার ধীরে ধীরে কমছে, চিন্তা বাড়ছে আম আদমির। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি সরকারি সঞ্চয় প্রকল্প আশ্চর্যজনক সুবিধা দিচ্ছে - এমনকি কর ছাড়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। এই প্রতিবেদনে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ) সম্পর্কে আলোচকপাত করা হচ্ছে।
আসলে, ২৫ বছরের কৌশল হল বিনিয়োগের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটি। আপনি যদি এই পরিকল্পনায় প্রতি মাসে ১২,৫০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে আপনার বার্ষিক বিনিয়োগ হবে ১.৫ লক্ষ টাকা। ২৫ বছর পরে, আপনি প্রায় ১.০৩ কোটি টাকা রিটার্ন পেতে পারেন। এই তহবিলের প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা কেবল সুদ।
এখন সুদের হার কত?
বর্তমানে, পিপিএফ প্রতি বছর ৭.১ শতাংশ সুদ দেয়। এটি চক্রবৃদ্ধি সুদ। এর অর্থ হল আপনি কেবল আপনার জমা করা অর্থের উপরই নয়, আপনার উপার্জিত সুদের উপরও সুদ পান। এটি পিপিএফের প্রধান সুবিধা। এর ফলে আপনার টাকা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
আপনি কত বিনিয়োগ করতে পারেন এবং কতদিনের জন্য?
এই প্রকল্পে, আপনি এক বছরে কমপক্ষে ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ বিনিয়োগ করতে পারেন। প্রথমে, এই প্রকল্প ১৫ বছর কার্যকরী। কিন্তু এরপর, আপনি আরও পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগ দু'বার বাড়িয়ে দিতে পারেন। তাই, আপনি চাইলে প্রকল্পটি ২৫ বছর ধরে রাখতে পারেন। যদি আপনি প্রতি মাসে ১২,৫০০ টাকা সঞ্চয় করতে না পারেন, তাহলেও অসুবিদা নেই। আপনি তাও এক কোটি টাকা আয় করতে পারেন। যদি আপনি এই স্কিমে প্রতি মাসে ৩৫ বছর ধরে ৪,৫৮৫ টাকা সঞ্চয় করেন, তাহলে এক কোটি টাকা রিটার্ন মিলবে। এবাবেই পিপিএফের মাধ্যমে ছোট সঞ্চয়ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বড় পরিমাণে পরিণত হতে পারে।
মিলবে কর-ছাড় সুবিধাও
পিপিএফও কর-ছাড় সুবিধা দেয়। আপনি যখন এই প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করেন, তখন আপনি ভারতীয় আয়কর আইনের ধারা ৮০সি এর অধীনে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পান। আপনার উপার্জিত সুদও করমুক্ত। আর যখন আপনার প্রকল্প শেষ হবে, তখন আপনি যে পুরো টাকা পাবেন তাও করমুক্ত থাকবে। তাই, যদি আপনি আপনার ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ এবং স্মার্ট উপায়ে সঞ্চয় করতে চান, তাহলে পিপিএফ একটি দুর্দান্ত বিকল্প।
