আজকাল ওয়েবডেস্ক: দীপাবলির কয়েক দিন আগেই ভারতীয় শেয়ার বাজারে দেখা গেল এক উল্লেখযোগ্য উত্থান। ইতিবাচক সঙ্কেত এবং ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ-এর নিফটি৫০ সূচক ২৬১.৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ২৫,৫৮৫.৩০-এ পৌঁছায়, আর বিএসই সেনসেক্স ৮৬২.২৩ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৮৩,৪৬৭.৬৬-এ স্থির হয়।


এই উত্থানের পেছনে বড় ভূমিকা নিয়েছে দেশের কিছু শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি, যেমন অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। এই লার্জ-ক্যাপ স্টকগুলির পারফরম্যান্স গোটা বাজারে আশাবাদের সঞ্চার করেছে।


যদিও নিফটি পিএসইউ ব্যাঙ্ক ছাড়া বাকি সমস্ত সেক্টরাল সূচক ইতিবাচক গতিতে ছিল। নিফটি এফএমসিজি, নিফটি রিয়েলটি এবং নিফটি প্রাইভেট ব্যাঙ্ক ছিল দিনের শীর্ষ গেইনার। অন্যদিকে, বিএসই মিডক্যাপ সূচক ০.৩ শতাংশ এবং স্মল-ক্যাপ সূচক ০.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।


 নিফটি আজ গ্যাপ-আপ দিয়ে ওপেন করেছে এবং তার গতি বজায় রেখে ২৫,৬৫০ স্তরে গিয়ে থেমেছে। সাপ্তাহিক চার্টে মোমেন্টাম ইন্ডিকেটরগুলি শক্তিশালী উর্ধ্বমুখী প্রবণতা নির্দেশ করছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে সূচক আরও উপরে যেতে পারে। নিফটি এই মাসের শেষের আগেই তার সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তর ২৬,২৫০-তে পৌঁছে যেতে পারে।

আরও পডুন: নতুন সিইও আসতেই মাথায় হাত নেসলে কর্মীদের, কী ঘোষণা করলেন তিনি


অন্যদিকে, ব্যাঙ্ক নিফটি সারাদিন ধরে তার উর্ধ্বমুখী গতি বজায় রেখেছে। লেনদেনের প্রতিটি পর্যায়ে সূচকটি ইতিবাচক গতি প্রদর্শন করেছে এবং সেশনের শেষে শক্তিশালী অবস্থানে ছিল।


বিশ্লেষকদের মতে, দীপাবলির আগে বাজারে এই উত্থান বিনিয়োগকারীদের মনোবল বাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম স্থিতিশীল থাকা, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারে পরিবর্তন না হওয়া, এবং ভারত-আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক আশ্বাসবাণী এই সব মিলিয়ে বাজারে এক ধরনের আশা সৃষ্টি করেছে।


এছাড়া, কর্পোরেট আয় রিপোর্টে শক্তিশালী ফলাফল, বিশেষ করে ব্যাঙ্কিং ও এফএমসিজি খাতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বাড়িয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এই ধারাবাহিক ইতিবাচক গতি দীপাবলির সময় বিনিয়োগ এবং ভোক্তা ব্যয় বাড়াতে সাহায্য করবে।


বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, আগামী সপ্তাহগুলোতেও শেয়ার বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা বজায় থাকতে পারে, বিশেষত উৎসবের সিজনে ক্রয়চাহিদা বৃদ্ধি এবং বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ অব্যাহত থাকলে। এইভাবে দীপাবলির আগে ভারতের শেয়ার বাজার শুধু বিনিয়োগকারীদের মুনাফাই দেয়নি, বরং দেশের অর্থনৈতিক শক্তির এক ইতিবাচক ছবিও তুলে ধরেছে।