বলিউড অভিনেতা ইমরান হাশমি সম্প্রতি আরিয়ান খান পরিচালিত এবং রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত সিরিজ 'দ্য ব্যাডস অফ বলিউড'-এ তাঁর ভাইরাল ক্যামিও নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান যে, যেখানে তাঁর অনুরাগীরা এবং এমনকী নেটফ্লিক্সের কর্মকর্তারাও তাঁর এই মজার দৃশ্যটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত, সেখানে তাঁর ১৫ বছর বয়সী ছেলে অয়ন হাশমি কিন্তু মোটেও খুশি নয়, বরং সে বেশ বিব্রত।
এই সিরিজে ইমরান হাশমি নিজেকেই এক অতিরঞ্জিত ও হাস্যকর 'ইনটিমেসি কোচ' হিসেবে ফুটিয়ে তুলেছেন। পর্দায় তাঁর এই স্বল্প সময়ের উপস্থিতিটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এবং দর্শকের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। তবে এই দৃশ্যটিই অভিনেতার ছেলে অয়নের জন্য স্কুলে এক নতুন সমস্যার সৃষ্টি করেছে।
এক সাক্ষাৎকারে ইমরান হাশমি মজার ছলে বলেন, "আমি জানি না ক্যামেরার সামনে এটা বলা উচিত কিনা, কিন্তু সে (অয়ন) সত্যি খুব বিব্রত।" তিনি জানান, অয়নের স্কুলে বিভিন্ন ক্লাব বা সোসাইটি আছে। আর এখন তার সব বন্ধু তাকে খোঁচা দিয়ে বলছে, "তুমি কেন ইনটিমেসি কোচ হচ্ছো না?"
অভিনেতা আরও জানান যে, এই বিষয়টি নিয়ে অয়ন এতটাই বিরক্ত যে সে তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, "স্কুলে তোমার জন্য সব কিছু বরবাদ হয়ে গিয়েছে, আর এটা এখন একটা চলমান রসিকতা। প্রতিদিন আমি যখন স্কুলে যাই, আমাকে এই সবের মুখোমুখি হতে হয়... তাই তুমি কি এবার থামবে?" ছেলের এই প্রতিক্রিয়া শুনে ইমরান হাশমি নিজেও হাসতে বাধ্য হন। তিনি স্বীকার করেন, তিনি নিজেই এই চরিত্রটি করার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন, কারণ তাঁর মনে হয়েছিল, "আমি যদি না করি, তবে আর কেউ পারবে না।" তবে ছেলের এই ধরনের অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।
যদিও ছেলে অয়ন বিব্রত, ইমরান হাশমি এই ক্যামিওর প্রতিক্রিয়া নিয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি জানান, কয়েক বছর আগেও তাঁর একটি পরিচিত 'সিরিয়াল কিসার' ইমেজ ছিল, যা নিয়ে প্রায়শই কথা হতো। তবে এখন ভক্তরা তাঁর কাজের সংলাপ এবং পারফরম্যান্স নিয়ে মেতে আছে, যা তাঁর কাছে এক স্বস্তির বিষয়।
ইমরান জানান, এই দৃশ্যটি যে এতটা ভাইরাল হবে, তা পরিচালক আরিয়ান খান বা রেড চিলিজের টিম— কেউই প্রত্যাশা করেননি। সিরিজটি মুক্তির কয়েক ঘণ্টা পরেই নেটফ্লিক্সের প্রধান তাঁকে ফোন করে জানান যে, এই ক্যামিওটি অবিশ্বাস্যভাবে ভাইরাল হয়েছে এবং মানুষজন শুধু এই দৃশ্যের জন্যই তৃতীয় এপিসোড দেখছে। অভিনেতা মনে করেন, এটি লেখকদের একটি 'মাস্টারস্ট্রোক' ছিল এবং এর থেকে শেখার আছে যে ডিজিটাল যুগে কী কখন ভাইরাল হবে, তা আগে থেকে বলা অসম্ভব।
ছেলের চোখে বাবা বিব্রত হলেও, বাবার কেরিয়ারে এই ক্যামিও যে নতুন মোড় এনেছে, তা অনস্বীকার্য। অয়নের জন্য এটি যতই বিব্রতকর হোক না কেন, দর্শকের জন্য এটি ছিল দারুণ উপভোগ্য।
