নিজস্ব সংবাদদাতা: অনুরাগীদের সঙ্গে অন্যতম সেরা জন্মদিন কাটালেন অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটালেন, তাঁদের হাতে বানানো পায়েস খেলেন। প্রিয় অভিনেতাকে এদিন বিশেষ দাবি করে বসলেন অনুরাগীরা। দাবি, খুব শীঘ্রই যেন শ্যামৌপ্তির সঙ্গে চার হাত এক করেন তিনি।  কবে আসতে চলেছে সেই বিশেষ দিন? এই প্রশ্নের উত্তর কি দিলেন রনজয়? 

 

 

ছোটবেলায় কখনওই জাঁকজমকভাবে জন্মদিন পালন করেননি রনজয়। পরিবারে তেমন আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলেও এই বিশেষ দিনে তাঁর প্রিয় সব খাবার রান্না করা হত, এমনভাবেই ছোটবেলার জন্মদিনকে মনে রাখেন রণজয়। তাই কখনওই জন্মদিন নিয়ে তেমন মাতামাতি তিনি করেন না। তবে অনুরাগীদের কাছে তাঁর জন্মদিন যে কতটা বিশেষ, গত দু'বছর ধরে তা উপলব্ধি করতে পারছেন অভিনেতা। 

 


তাই এই বিশেষ দিনের কিছুটা সময় অনুরাগীদের সঙ্গে কাটানোর চেষ্টা করেন তিনি। এদিন অনুরাগীরা নিজের হাতে রান্না করে আনলেন পায়েস, সঙ্গে নানা উপহার। তবে এই ভালবাসাটাই জন্মদিনের সেরা উপহার বলে মনে করেন রণজয়। এদিন রনজয়কে পাশে পেয়ে শ্যামৌপ্তির সঙ্গে বিয়ের প্রসঙ্গ তুললেন অনুরাগীরাই। 'অনুজ-গুড্ডি' জুটিকে বাস্তবেও তাঁরা দেখতে চান এবং কবে সেই বিশেষ দিন আসতে চলেছে তা জানতে চাইলেই লজ্জায় একদম লাল হয়ে ওঠেন রণজয়।

 


এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে না পারলেও রণজয়ের হাসিমুখ যেন বুঝিয়ে দিল অনেক কথাই। রণজয় বলেন, "বয়স বেড়ে যাওয়াকে খুব উপভোগ করি। কত অভিজ্ঞতা হচ্ছে প্রত্যেক বছর। জন্মদিন আমার কাছে আর পাঁচটা দিনের মতোই। কখনওই তেমনভাবে মাতামাতি করিনি। এই দিনছ যে এত মানুষের আশীর্বাদ ও ভালবাসা পাব তা ভাবতেও পারি না, এটাই আমার কাছে সবকিছু। জন্মদিনে নিজেকে একটি পাঞ্জাবী ও ঘড়ি উপহার দিয়েছি, ব্যস এটুকুই।"

 

 

বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করতেই কোনও উত্তর না দিয়ে শুধু হাসতে থাকলেন রণজয়। এদিন উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহ-অভিনেত্রী শ্বেতাও। তাঁর কথায়, "শুধু এই দিনটা নয় প্রত্যেকটা দিন রণজয়দার ভাল কাটুক। যা চায় সেটাই যেন পায় এই শুভকামনা করি। আর খুব তাড়াতাড়ি বিয়েটা করে ফেলুক, আমি নেমন্তন্ন পেলেই হল।"