সংবাদ সংস্থা মুম্বই: গত ৭ মার্চ মুক্তি পেয়েছে খুশি কাপুর এবং ইব্রাহিম আলি খান অভিনীত ছবি ‘নাদানিয়া’। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে সইফ-পুত্রের এই প্রথম ছবি। এই ছবির হাত ধরেই বলিপাড়ায় পা রাখলেন ইব্রাহিম আলি খান। তাঁর বিপরীতে রয়েছেন খুশি কাপুর। ছবিতে তাঁদের নাম যথাক্রমে অর্জুন এবং পিয়া। তবে করণ জোহর প্রযোজিত এই ছবি দেখে এতটুকুও খুশি নন দর্শক। কাটা কাটা ভাষায় কটাক্ষ এবং দুয়ো দিয়ে এই ছবিকে তাঁরা ভরিয়ে দিয়েছেন।
সমাজমাধ্যমে এই ছবি দেখে উঠে এক ব্যক্তি লেখেন, " যদি নেটফ্লিক্সে এই ছবি আপনি দেখতে বসেন, তাহলে এই ছবি শেষ হওয়ার পর রাগে-বিরক্তিতে নেটফ্লিক্সের সাবস্ক্রিপশন-ই আপনি বাতিল করে দেবেন। এতটাই জঘন্য এই ছবি।" নেটপাড়ার অন্য এক বাসিন্দা লিখলেন, " প্রথম পাঁচ মিনিট...আবার বলছি, প্রথম পাঁচটা মিনিট। ছবির এইটুকু দেখেই বিরক্তি ধরে যায়! আর সহ্য করা যায় না। অসহ্য! খুশি কাপুরের উচিত অবিলম্বে অভিনয় শেখা এবং তার জন্য অভিনয় শিক্কার ক্লাসে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভর্তি হওয়া।"
তবে ভাইরাল হয়েছে নিশান্ত মিশ্র নামের এক ব্যক্তির পোস্ট। মজাদারভাবে এই ছবির তুলোধনা করেছেন সেই ব্যক্তি। সঙ্গে নেটফ্লিক্সের উদ্দেশ্যেও ছুঁড়ে দিয়েছে তীক্ষ্ণ শ্লেষবাক্য। তবে তাঁর লেখায় কোনও অশ্লীল শব্দের প্রয়োগ না থাকি তা আরও উপভোগ্য হয়ে উঠেছে নেটপাড়ায়। ওই ব্যক্তি লিখেছেন, " মানবতার উপর টাটকা এক হামলার নাম 'নাদানিয়া'। কেন আমাদের উপর তোমার এত ঘৃণা নেটফ্লিক্স? আচ্ছা, একটা কথা বলো, কে এসব ছবি পাশ করায় তোমাদের সাইটে? আসলে, নাদানিয়া' তো স্রেফ একটি ছবি নয়, এটা দর্শক ও তাঁদের রুচির সঙ্গে করা দুরন্ত একটা বদ রসিকতা। মানে এত জঘন্য ছবি যে প্রতিবাদ জানাতে ওয়াই ফাই-ই বন্ধ হয়ে যাবে, যাতে ওর মাধ্যমে এই ছবি সম্প্রচারিত না হতে পারে!"
" বলিউডে স্বজনপোষণ এখন অন্য লেভেলেই চলছে। ছবির জন্য গল্প? ধুর! কী দরকার সেসবের। ভাল অভিনয়? অরে ছো! কে পরোয়া করে। যা খুশি একটা লিখে দিয়ে সেটাকে 'আধুনিক প্রেমের গপ্পো' হিসাবে চালিয়ে দেওয়াটাই হচ্ছে এখনকার চল। মানে... ছবির সংলাপ এত রদ্দি যে মনে হয়েছে এ আই -এর সাহায্যে লেখা হয়েছে আর সেসব সংলাপ বলছে দু'জন জঘন্য অভিনেতা-অভিনেত্রী। এই দু'টোর কোনওটাই হিন্দি উচ্চারণ ঠিক করতে পারে না। বোঝো...আর... হ্যাঁ, যে এটা পড়ছেন তাঁর যদি নিজেকে কোনওদিন অপর্দার্থ মনে হয়, তখন শুধু এটা একবার মনে করে নেবেন এমনও মানুষ আছেন যে এই দু'জন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে ছবির মুখ্যচরিত্রে কাস্ট করেছিলেন। অরে এই ছবি দেখলে স্বজনপোষণ শব্দটাই লজ্জায় নিজের মুখ ঢাকবে। ১০ এ কোনওরকমে ১ দেব এই ছবিকে। ধুর, এক্কেবারে ফালতু!"
এই পোস্ট পড়ে যে হাসির ঝড় উঠেছে নেটপাড়ায়-পাড়ায়, তা বলার জন্য কোনও পুরস্কার নেই।
