ভাইফোঁটার দিনটা আনন্দে ভরে থাকে তাঁর। কিন্তু এবার সেই বিশেষ দিনেও দুশ্চিন্তার ঘিরে রইল গায়ক এবং সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। শিল্পীর মা বাইপাস সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। ফুসফুসে অক্সিজেনের সরবরাহ কম হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কোনও রকম ঝুকি না নিয়েই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। আপাতত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে সেরে উঠছেন সঙ্গীত পরিচালকের মা।
ভাল নেই জিৎ নিজেও। ভাইরাল জ্বর কাবু করেছে তাঁকে। ঠিক একই ভাবে অসুস্থ তাঁর স্ত্রী চন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায়ও। দু’জনেই আপাতত কলকাতায়। একদিকে মায়ের অসুস্থতা, অন্য দিকে নিজেদের শারীরিক সমস্যা, দুই মিলিয়ে আপাতত জর্জরিত সঙ্গীত পরিচালক এবং তাঁর গায়িকা স্ত্রী। জ্বরের কারণে দু’জনেই খুব দুর্বল।
প্রত্যেক বছর ভাইফোঁটায় অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ফোঁটা নেন জিৎ। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও অভিনেত্রীকে নিজের বোনের মতোই ভালবাসেন সঙ্গীত পরিচালক। নায়িকার কেরিয়ারের শুরু থেকেই তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন জিৎ। ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘রোমিও’, ‘বস’-এর মতো ছবিতে একের পর এক সুপারহিট গান দিয়েছেন তিনি। যা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল শুভশ্রীর জনপ্রিয়তা। তবে পেশাগত গণ্ডির বাইরেও তাঁদের সমীকরণ চোখে পড়ার মতো। নিষ্ঠা নিয়ে জিতের মঙ্গল কামনা করে তাঁর কপালে ফোঁটা একে দেন শুভশ্রী। তারপর মাছ-মাংস দিয়ে চলে ভুরিভোজ। শেষ পাতে মিষ্টি। আর তার সঙ্গে একরাশ হাসি আর আড্ডা। তবে এবার আর তেমনটা হবে না। অসুস্থতার কারণে কলকাতায় থেকেও শুভশ্রীর বাড়িতে ফোঁটা নিতে যাচ্ছেন না জিৎ।
গত বছরও শুভশ্রীর থেকে ভাইফোঁটা নিতে পারেননি জিৎ। সস্ত্রীক একটি পথ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন সঙ্গীত পরিচালক। দুর্ঘটনার পর তখনও পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি জিতের স্ত্রী চন্দ্রাণী। বাড়িতেই বিশ্রামে ছিলেন। এদিকে কলকাতায় শুভশ্রীর কাছে ফোঁটা নিতে বরাবর সস্ত্রীক আসতেন জিৎ। তাই অসুস্থ চন্দ্রাণীকে ছেড়ে আসতে পারেননি তিনি।
২০২১ সালে প্রথমবার শুভশ্রীর থেকে ফোঁটা নিতে হাজির হয়েছিলেন জিৎ। ভাইফোঁটার পর ‘দাদা’র জন্য ঢালাও খাওয়াদাওয়ার শুভশ্রী। তালিকায় ছিল জিতের প্রিয় খাবার বিরিয়ানিও। সেবারে ফোঁটা নেওয়ার পর জিৎ বলেছিলেন, “কোনও বছরই শুভশ্রীর থেকে ফোঁটা নেওয়া হয় না। আমরা দু’জনেই ব্যস্ত থাকি। কিন্তু এবার যেন আলাদা রকমের অনুভূতি। বোনের ফোঁটা পেয়ে খুব ভাল লাগছে।” সেবারে ফোঁটা নেওয়ার পর শুভশ্রীকে হেডফোন উপহার দিয়েছিলেন জিৎ, সেকথা নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি।
একই শহরে থেকেও হল না উদযাপন। দাদার কপালে ফোঁটা একে দিতে পারলেন না শুভশ্রী। তাতে যদিও আলগা হয় না সম্পর্কের বাঁধন। দাদা-বোনের সমীকরণ থাকবে আগের মতোই।
