টেলিভিশন অভিনেতা জয় ভানুশালী এবং মাহি বিজ তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সম্প্রতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন। ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছে— এমনই গুঞ্জন ছড়িয়েছে বিনোদন জগতে। অবশেষে নিজের নতুন ভ্লগে মুখ খুললেন মাহি। জানালেন, এই সব জল্পনা এবং ৫ কোটি টাকা খোরপোশ নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

নিজের ভিডিওয় মাহি বলেন, “আমি কোথাও পড়েছি যে আমি নাকি ডিভোর্স পেপারে সই করেছি! কেউ যদি সেই কাগজটা দেখাতে পারেন, দয়া করে দেখান। যতক্ষণ না আমরা নিজেরা কিছু বলছি, ততক্ষণ আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে কারও হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। আমরা জনসম্মুখে পরিচিত ঠিকই, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সবকিছু আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে।”

তিনি আরও জানান, তাঁর বাড়িতে অসুস্থ মা রয়েছেন এবং তিনটি সন্তান— যার মধ্যে দুই সন্তানই এখন এত বড় যে চারপাশের কথা বুঝতে পারে।

“আমার মেয়ে খুশি আমাকে মেসেজ করেছে— ‘মাম্মা, এটা কী হচ্ছে? সবাই আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলাচ্ছে কেন?’ এমনকি স্কুলেও বাচ্চাদের প্রশ্ন করা হচ্ছে,” জানান মাহি।

মাহি আরও বলেন, “আমাদের একটু বাঁচতে দিন। আমরা সেলিব্রিটি বলেই সব জানাতে বাধ্য নই। কেউ লিখেছে আমি নাকি ৫ কোটি টাকা খোরপোশ চেয়েছি— আমি বা জয় কেউ কি তা বলেছি? প্রমাণ থাকলে তবেই কথা বলুন। আসলে আমি তো ঠিক জানিই না অ্যালিমনি কী! আমার মতে, যদি একজন পুরুষ নিজের পরিশ্রমে উপার্জন করেন, তাহলে আলাদা হওয়ার পর সেই টাকার ওপর স্ত্রীর কোনও অধিকার থাকা উচিত নয়।”

তিনি আরও যোগ করেন, খোরপোশ তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যারা সারাজীবন গৃহবধূ ছিলেন ও কাজ করেননি। কিন্তু যে নারী কাজ করতে সক্ষম, তাঁর নিজের রোজগার করা উচিত।

মাহি বলেন, “যতক্ষণ না আমার মুখে কিছু শুনছেন, দয়া করে কোনও খবর বিশ্বাস করবেন না। আমাদের, আমাদের সন্তানদের ও বাবা-মায়ের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন। যদি কিছু বলার প্রয়োজন মনে করি, আমরা নিজেরাই জানাব। জয় আমার পরিবার, এবং সে চিরকাল আমার পরিবারই থাকবে। সে আমার সন্তানের জন্য এক অসাধারণ বাবা এবং একজন সুন্দর মানুষ।”

জয় এবং মাহির দেখা হয় এক সাধারণ বন্ধুর পার্টিতে, সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁদের বন্ধুত্ব ও পরবর্তীতে প্রেম। কয়েক বছর সম্পর্ক রাখার পর ২০১০ সালে তাঁরা ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেন। তাঁদের তিন সন্তান— তাঁদের এক মেয়ে আছে তারা এবং দত্তক নেওয়া দুই সন্তান রাজবীর ও খুশি।

সম্প্রতি, ২০২৫ সালের জুলাই-আগস্ট নাগাদ তাঁদের ডিভোর্স চূড়ান্ত হয়েছে— এমন খবর প্রকাশিত হয় কিছু সংবাদমাধ্যমে। তবে মাহি বিজের সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে, এই সমস্ত খবরই নিছক গুজব, বাস্তব নয়।