বলিউডের ভাইজান সলমন খান এবং পরিচালক অভিনব কাশ্যপের মধ্যে ১৫ বছরের পুরনো তিক্ত সম্পর্ক এখনও বহাল। ২০১০ সালে ব্লকবাস্টার হিট 'দাবাং'-এর পরিচালক ছিলেন অভিনব কাশ্যপ। ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্য পেলেও, সলমন ও কাশ্যপ, দু'জনের কাছেই এর অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর ছিল না। সম্প্রতি এই পুরনো ঝগড়ার নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।
অভিনব কাশ্যপ সম্প্রতি একটি পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে সলমন খান এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন। কাশ্যপের দাবি, সলমন 'দাবাং'-এর সাফল্যের অযাচিত কৃতিত্ব নিয়েছেন এবং তিনি শুধু মাত্র স্টারডম নিয়েই আগ্রহী, অভিনয় নিয়ে নয়। তিনি সালমানকে 'গুণ্ডা' এবং 'বদমেজাজি' বলে অভিহিত করেছেন। কাশ্যপ এও দাবি করেন যে খান পরিবার তাঁর এবং তাঁর ভাই, পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের কেরিয়ার নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। কাশ্যপ আরও গুরুতর অভিযোগ করে বলেছেন যে সলমন খান তাঁর শরীর ধরে রাখার জন্য ইঞ্জেকশন ব্যবহার করেন এবং তাঁর সিক্স-প্যাক ভুয়ো।
অভিনব আরও বলেছিলেন যে, একদিন সলমন তাঁর কৃতকর্মের জন্য আফসোস করবেন এবং তাঁর পায়ে পড়ে কাজ চাইবেন। এই নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া। তবে এই ঘটনায় চুপ থাকেননি সলমন।এর উপযুক্ত জবাবও দিয়েছেন তিনি। স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান রবি গুপ্তা যখন 'বিগ বস ১৯'-এ ছিলেন, সেই সময়েই সলমন বিষয়টি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: শেফালী শাহের 'গোপন' ভিডিও রেকর্ডিং আছে আরবের কাছে! লুকিয়ে কী ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন অক্ষয়-পুত্র?
শো-এ অভিনবের নাম না করেই তিনি বলেন, "আমাদের একজন দাবাং মানুষ আছেন, উনিও আজকাল লেগে পড়েছেন। এখন উনি আমার সঙ্গে আমির আর শাহরুখকেও জড়িয়ে ফেলেছেন। আমি গত 'উইকএন্ড কা বার'-এও বলেছিলাম, কাজ করো বন্ধু, কারও কিছু যায় আসে না। আজকে আরও একবার জানতে চাই, কাজ কি পেয়েছ ভাই?"
এরপর সলমন যোগ করেন, "এভাবে আচরণ করার পর, সবার নামে কাদা ছোড়া ঠিক নয়। যাদের নাম নিচ্ছ, তাঁরা কেউই তোমার সঙ্গে ভবিষ্যতে কাজ করবেন না। এমনকী যাঁরা তাদের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাও করবেন না। আমরা যখন তোমাকে একটি ছবি অফার করেছিলাম, তুমি নিজেই না বলেছিলে। এত প্রশংসা, এত সম্মান তুমি নিজেই নষ্ট করে ফেলেছ। আমার কষ্ট একটাই- তুমি নিজেই নিজের কেরিয়ার ধ্বংস করে ফেলেছ।"

এরপর অভিনেতা আরও বলেন, "যদি কারও পরিবারের পিছনে পড়তে চাও, তবে নিজের পরিবারের দিকেও একবার তাকাও। নিজের ভাই, মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান- তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাও, তাঁদের যত্ন নাও। এটা অন্তত করো। আমি জানি, তাঁরা তোমাকে নিয়ে চিন্তিত। কেউ যদি তোমাকে পরামর্শ দেয়, ভেবে শুনে কথা বলো। আমি চাই তুমি এগিয়ে যাও, তুমি প্রতিভাবান মানুষ, ভাল লেখক। ভুল পথে যেও না, সঠিক পথে ফিরে আসো। উপরের উনিই দেখবেন তোমার জন্য। আর তুমি বলেছিলে আমাকে হাঁটু গেড়ে বসতে! আমি তো প্রতিদিন সকালে হাঁটু গেড়ে বসি, তবে সেটা ঈশ্বরের জন্য।"
দু'তরফের এই ঠাণ্ডা লড়াই চলছে! এর শেষ পরিণতি কী? নেটপাড়ায় উঠে আসছে এই প্রশ্ন। তবে জবাব এখনও অধরা।
