টিনসেল টাউনে খবর অফুরান। বিনোদনের সমস্ত খবর জানতে যদি চান, চোখ রাখুন নজরে বিনোদনে। জেনে নিন সারাদিনের গরমা গরম খবর কী?

 

 

বিচ্ছেদ ভুলতে চেয়েছিলেন সঞ্জয়-করিশ্মা?

 

 

করিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরের আকস্মিক মৃত্যু ঘিরে পারিবারিক দখলদারির লড়াইয়ে উত্তাল কাপুর পরিবার। একদিকে যেমন করিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয়ের বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকার প্রশ্নে সন্তানদের ভাগ নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। এমনকি সঞ্জয়ের মা রানী কাপুর অভিযোগ করেছেন, নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেও তাঁকে দূরে রাখা হয়েছে এবং জীবনের মৌলিক প্রয়োজনে নির্ভর করতে হচ্ছে নির্বাচিত কিছু মানুষের দয়ার উপর। এছাড়াও তিনি তাঁর ছেলের মৃত্যুকে 'আকস্মিক ও রহস্যজনক' বলে উল্লেখ করেছেন। এরই মাঝে বলিপাড়ায় রটে গিয়েছে, করিশ্মা কাপুর নাকি স্বামী সঞ্জয়ের ৩০,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তিতে ভাগ চাইছেন। তবে এই খবর রটে গেলেও, করিশ্মার তরফ থেকে এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। করিশ্মা কাপুর ২০০৩ সালে ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক শীঘ্রই টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে এবং ২০১৬ সালে তাঁদের আইনি বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। তবে এক সাক্ষাৎকারে করিনা কাপুর উল্লেখ করেছিলেন যে, নিজেদের মধ্যে দূরত্ব মেটাতে চেয়েছিলেন সঞ্জয় ও করিশ্মা। তাই ছুটি কাটাতে গোয়ায় গিয়েছিলেন। কিন্তু পাপারাজ্জিদের দল সেখানেও বিরক্ত করেন তাঁদের। তাই ওই সময়টা তাঁদের দু'জনের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। 

 

আরও পড়ুন: ‘গলওয়ান’-এর পর টাইম ট্র্যাভেল ছবিতে সলমন? ছবিজুড়ে অ্যাকশনের সঙ্গে থাকবে টানটান থ্রিল?

 

ঐশ্বর্যর বদলে প্রিয়াঙ্কা!

 

নব্বইয়ের দশকের একদম শেষের দিকে সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হাম দিল দে চুকে সনম' ছবিতে ধরা দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। অভিনেত্রীর কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়েছিল এই ছবি। সেই সময় অবশ্য সলমন-ঐশ্বর্যর অফস্ক্রিন রোম্যান্সের চর্চার সর্বত্র। এরপর বনশালির পরিচালনার ‘দেবদাস’, ‘গুজারিশ’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি ।বনশালির সঙ্গে ঐশ্বর্যর বন্ডিং দুর্দান্ত। তবে জানেন কি বনশালির ‘গোরিও কি রাসলীলা…রামলীলা’ ছবিতে আইটেম নাচতে অস্বীকার করেছিলেন ঐশ্বর্য। তাও শুধুমাত্র সলমন খানের জন্য! ‘রামলীলা’ ছবিতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নয়, ঐশ্বর্যকে নিজের আইটেম গার্ল হিসাবে বেছেছিলেন সঞ্জয় লীলা বনশালি। কিন্তু সমস্যা দেখা দিল গানের লিরিকস নিয়ে। ‘থাপ্পড় সে ডর নেহি লগতা পেয়ার সে লগতা হ্যায়’, আইটেম গানে এই লাইন ছিল যা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন ঐশ্বর্য। এ কথা কারুর অজানা নয়, সলমন খানের ‘দাবাং’ ছবির সুপারহিট সংলাপ এটি। অ্যাশ জানিয়েছিলেন, গানের কথা থেকে এই লাইন ছেঁটে ফেলতে হবে, কিন্তু বেঁকে বসেন বনশালি। সলমনের কাছ থেকে রীতিমতো এই লাইন ব্যবহার করার অনুমতি নিয়েছিলেন পরিচালক। তবে সলমন খানের সঙ্গে ঐশ্বর্যর তিক্ত অতীত জড়িয়ে রয়েছে, তাই কোনওমতেই নিজের আত্মসম্মানের সঙ্গে সমঝোতা করতে রাজি হননি ঐশ্বর্য। কাজটি ছেড়ে দেন তিনি। এরপর ঐশ্বর্যর জায়গা নেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। কিন্তু ভাগ্যের এমনই পরিহাস, যে ওই আইটেম গানের লিরিকস বদলে হয়ে যায়, ‘রাম চায়ে লীলা চায়ে লীলা চায়ে রাম’। গানটি তুমুল হিট হয়েছিল তা বলাই বাহুল্য। 

 

 

 

জাতীয় পুরস্কারের দাবি রূপালির

 

 

৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকায় একাধিক চলচ্চিত্র তারকার নাম থাকলেও টেলিভিশন শিল্পীদের প্রতি অবহেলা নিয়েই মুখ খুললেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপালি গাঙ্গুলি। ‘অনুপমা’ খ্যাত এই অভিনেত্রীর দাবি, সিনেমার জগতে কাজ করা শিল্পীরা জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হলেও টেলিভিশনের শিল্পীরা দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেও সেই স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত থাকেন। এক সাক্ষাৎকারে রূপালি বলেন, “জাতীয় পুরস্কারে ফিল্ম তারকাদের নাম দেখি। কিন্তু টেলিভিশন? আমরা কি কাজ করি না? আমরা কি পরিশ্রম করি না? কোভিডের সময়ও যখন চারদিকে সব বন্ধ, তখনও আমরা সকাল ছ’টা থেকে সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত কাজ করেছি। সেই কষ্ট, সেই নিষ্ঠা কোথাও কি চোখে পড়ে?” তিনি আরও বলেন, “আমরা কাজ করি, সেটাও অনেক বেশি সময় ধরে। একটা ধারাবাহিক বছরের পর বছর ধরে চলে। প্রতিদিনের চাপ, প্রতিদিনের শুটিং—এই নিয়মের মধ্যে থেকেও আমরা কাজ করে যাই। অথচ সেই শিল্পীদের জন্য কোনও জাতীয় পুরস্কার নেই। এটা অত্যন্ত কষ্টের। আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি, আমাদেরও যেন স্বীকৃতি দেওয়া হয়।”

 

এখানেই শেষ নয়। স্মৃতি ইরানির টেলিভিশনে প্রত্যাবর্তনের খবরে আশার আলো দেখছেন রূপালি। ‘কিউঁকি সাস ভি কভি বহু থি’ ধারাবাহিকের রিবুট ভার্সনে স্মৃতি ইরানির ফিরে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “স্মৃতি ইরানি টেলিভিশনে ফিরলে অনেক কিছু বদলে যেতে পারে। দর্শক আবারও টেলিভিশনের দিকে ফিরবেন। ওঁর মতো একজন প্রভাবশালী মানুষ যদি আবার ছোটপর্দায় আসেন, তা হলে হয়তো সরকার এবং সমাজ টেলিভিশনের গুরুত্বটা একটু হলেও বুঝবে।”