আজকাল ওয়েবডেস্ক: যৌনশিক্ষা ভারতবর্ষে এখনও অপ্রতুল। তাই অনেকেই জানেন না যে বিভিন্ন কারণে পুরুষাঙ্গের আকার ও দৈর্ঘ্য হ্রাস পেতে পারে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লিঙ্গ সঙ্কোচন বা আকারে পরিবর্তনের নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে।
2
12
বয়সজনিত পরিবর্তন: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে স্বাভাবিকভাবেই কিছু পরিবর্তন আসে। টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে এবং টিস্যুর স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায়। তাছাড়া রক্তনালীতে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস (ধমনীর দেওয়াল শক্ত ও সরু হয়ে যাওয়া) হতে পারে, যা লিঙ্গে রক্ত প্রবাহ কমাতে পারে। এর ফলে উত্থানের দৃঢ়তা কমতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে আকারের পরিবর্তন অনুভূত হয়।
3
12
ওজন বৃদ্ধি: শরীরের ওজন বাড়লে, বিশেষ করে তলপেটে চর্বি জমলে, লিঙ্গের দৃশ্যমান অংশ ছোট মনে হতে পারে। লিঙ্গ পেটের চর্বির নিচে ঢাকা পড়ে যাওয়ায় এমনটা হয়, যদিও প্রকৃত অর্থে লিঙ্গের আকার কমে না। ওজন কমালে এই অবস্থার উন্নতি হতে পারে।
4
12
পেয়ারোনির রোগ: এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে লিঙ্গের অভ্যন্তরে স্কার টিস্যু তৈরি হয়। এর ফলে লিঙ্গ বাঁকা হয়ে যেতে পারে, ব্যথা হতে পারে এবং লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বা পরিধি কমে যেতে পারে। এটি সাধারণত আঘাত বা প্রদাহের কারণে হয়। এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।
5
12
প্রোস্টেট সার্জারি: কিছু গবেষণা অনুযায়ী, র্যাডিক্যাল প্রোস্টেটেক্টমি (ক্যানসারের জন্য প্রোস্টেট গ্রন্থি অপসারণ) অস্ত্রোপচারের পর কিছু ক্ষেত্রে পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে কিছুটা কমে যেতে পারে। এর সঠিক কারণ পুরোপুরি স্পষ্ট না হলেও, স্নায়ু বা রক্তনালীর ক্ষতি অথবা ইউরেথ্রার টান এর জন্য দায়ী হতে পারে।
6
12
ধূমপান: ধূমপান রক্তনালীর ব্যাপক ক্ষতি করে, যার মধ্যে লিঙ্গে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীও রয়েছে। এটি রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয় এবং ইরেকটাইল ডিসফাংশনের (লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা) ঝুঁকি বাড়ায়। দীর্ঘমেয়াদে, ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালী লিঙ্গের টিস্যুর স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে, যা আকারে প্রভাব ফেলতে পারে।
7
12
কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ, যেমন - কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, হরমোনাল ড্রাগস, বা প্রোস্টেটের সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহৃত ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লিঙ্গের কার্যকারিতা বা আকারে প্রভাব ফেলতে পারে।
8
12
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: টেস্টোস্টেরন পুরুষদের যৌন বিকাশে এবং লিঙ্গের স্বাভাবিক কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যাওয়া সরাসরি লিঙ্গ সঙ্কোচনের প্রধান কারণ হিসেবে প্রমাণিত নয়, তবে এটি উত্থানের গুণমান এবং যৌন উত্তেজনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
9
12
দীর্ঘমেয়াদী ইরেকটাইল ডিসফাংশন: যদি লিঙ্গে নিয়মিত রক্ত প্রবাহ এবং উত্থান না হয়, তাহলে লিঙ্গের টিস্যুগুলো অক্সিজেন এবং পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা লিঙ্গের পেশীকোষের অ্যাট্রোফি বা সঙ্কোচনের কারণ হতে পারে।
10
12
প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বৈজ্ঞানিক উপায়: স্বাস্থ্যকর জীবনধারা, সুষম খাদ্য ( যেমন - অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল, শাকসবজি এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট), নিয়মিত ব্যায়াম যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং রক্ত সঞ্চালন ভাল করতে সহায়তা করে।
11
12
ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান ত্যাগ করতে হবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখলে দৃশ্যমান আকার ঠিক থাকে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
12
12
চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা: যদি লিঙ্গের আকারে কোনও আকস্মিক বা উদ্বেগজনক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন, তাহলে অবিলম্বে একজন ইউরোলজিস্টের পরামর্শ নিন।