আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক পাড়াতেই দু'জনের বাড়ি। ছোট থেকেই একসঙ্গে খেলাধুলা করত। পড়াশোনাও করত মাঝে মাঝে একসঙ্গে। এক টিউশনেও তাদের যাতায়াত ছিল। কে জানত, একসঙ্গে বেড়ে উঠতে উঠতে সাড়ে সর্বনাশ হবে এক কিশোরীর।
সহপাঠীর বাড়িতে পড়া বুঝতে গিয়েছিল ১৪ বছরের কিশোরী। সেদিন যা ঘটেছিল, তা জান গেল তিন মাস পর। পেটের অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছিল সে। বমিবমি ভাব। প্রথমে পরিবারের সকলে ভেবেছিলেন, পেটের অসুখে ভুগছে সে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের। অবশেষে তিন মাস পর সত্যিটা এল প্রকাশ্যে।
জানা গেছে, পড়া বোঝানোর অজুহাতে বাড়িতে কিশোরীকে ডেকেছিল তার সহপাঠী। ফাঁকা বাড়িতে প্রথমে পড়াশোনাই করছিল দু'জনে মিলে। আচমকা কিশোরীকে যৌন হেনস্থা করতে শুরু করে ১৪ বছরের কিশোর। সেদিনই পরিবারের অনুপস্থিতিতে কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে। ভয়ে, আতঙ্কে, লজ্জায় গোটা বিষয়টিই লুকিয়ে রেখেছিল কিশোরী। তিন মাস পর জানা গেল, সে অন্তঃসত্ত্বা।
শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার কিশোরীর পরিবারের তরফে ১৪ বছরের কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মেডিক্যাল টেস্টের পর জানা গেছে, কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানে জেলায়। ভিওয়ান্দি শহরের বাসিন্দা নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত কিশোর। এক স্কুলের সহপাঠী ছিল তারা। গত মে মাসে ঘটনাটি ঘটেছে। পড়া বোঝানোর অজুহাতে কিশোরীকে বাড়িতে ডেকেছিল অভিযুক্ত। ফাঁকা বাড়িতে তাকে ধর্ষণ করে সে।
আরও পড়ুন: ভরা বর্ষায় ঘুরতে যাচ্ছেন? আগামী সপ্তাহে এই রাজ্যগুলিতে চরম দুর্যোগ, ভোগান্তি পোহাতে হবে
এদিকে পরিবারের কারও কোনও সন্দেহ হয়নি কিশোরকে নিয়ে। সহপাঠী ছিল বলে, সন্দেহের তালিকায় সে ছিল না। গর্ভবতী হওয়ার খবরটি ফাঁস হতেই কিশোরীকে পরিবারকে জানায়। বৃহস্পতিবার থানায় গিয়ে অভিযুক্ত কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় এবং পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনাটির তদন্ত জারি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে মহারাষ্ট্রে একের পর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। থানে জেলাতেই স্কুলের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে একাধিক খুদে পড়ুয়া। যা ঘিরে রাজনীতিকরাও একাধিকবার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। দীর্ঘ বিক্ষোভের পরেও কমেনি স্কুল পড়ুয়াদের ধর্ষণের ঘটনা।

এর আগে থানে জেলাতেই স্কুলের শৌচালয়ের মধ্যে তিন বছরের দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে। নীল ছবি দেখিয়ে শৌচালয়ের মধ্যে তাদের ধর্ষণ করা হয়েছিল। দিনের পর দিন স্কুলের শৌচালয়ে যেতে ভয় পেত দুই নাবালিকা। অবশেষে পরিবারের কাছে বিষয়টি ফাঁস করতেই পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। যে ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল থানে জেলা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয়রা। রাজনীতিকরাও প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিলেন। অভিযুক্ত সাফাইকর্মীকে গ্রেপ্তারির পরেও কমেনি অপরাধপ্রবণতা। ঘটনাটির আঁচ এখনও কমেনি। এর মাঝেই আবারও প্রকাশ্যে এল এক স্কুল পড়ুয়ার ধর্ষণের অভিযোগ। সহপাঠীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্কুলের মধ্যেও শোরগোল পড়েছে এই ঘটনায়। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে পুলিশ।
