আজকাল ওয়েবডেস্ক: সঙ্গদোষে ক্রমশ বিগড়ে যাচ্ছিল ছেলে। বার বার বলা সত্ত্বেও এলার বিপথগামীদের সঙ্গে মেলামেশা ছাড়ছিল না দশম শ্রেণির ছাত্র। নাজেহাল ওই চাত্রের পরিবার। শেষপর্যন্ত চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কতা ছেলেকে জানিয়েছিলেন বাবা। হুঁশিয়ারির সুরেই ব্য়াবসায়ী বাবা জানিয়েছিলেন যে, সঙ্গদোষ মুক্ত না হলে তিনি ছেলেকে তাঁর সম্মত্তির কিছুই দেবেন না। এমনকি বাড়ি থেকেও বার করে দেবেন। যা শুনেই বাবার বিরুদ্ধে প্রতিশোধের আগুন জ্বলতে থাকে ছেলের মাথায়। বাবাকে শবক শেখাতে শেষে ছেলের কীর্তিতে হতবাক সকলে। হতভম্ব পুলিশও।
বাবার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়ে ছেলে বাড়ি থেকে ১ কোটি নগদ-সহ গয়না চুরি করে চম্পদ দেয়। এই কাজ করতে রীতিমত পেশাদার চোরেরদের কায়দায় বেশ কয়েকজন বন্ধুকেও জোগাড় করে ফেলে দশম শ্রেণির ছাত্র, কাজে লাগানো হয় তাদেরও। অভিযুক্তদের মধ্যে দু'জনকে আগেই চুরির অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পুলিশ জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছে গুণধর ছেলে। মঙ্গলবার কানপুরের কাপড় রং করার ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ২০ লক্ষ টাকা নগদ এবং ৮০ লক্ষ টাকার সোনা ও রূপোর গয়না চুরি করে পালায় সে।
জানাজানি হতেই ওই ব্যবসায়ী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ বিজেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, "অভিযোগ পাওয়ার পর, আমরা তদন্ত শুরু করেছি এবং সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে। আমরা ছেলেটিকে আটক করেছি। তাকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা নগদ ৪ লক্ষ টাকা, ১৬৫ গ্রামেরও বেশি সোনা এবং ৩ কেজিরও বেশি রূপো উদ্ধার করেছি। দুই সহযোগী পলাতক এবং তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারের পর বাকি চুরি যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার করা হবে। অভিযুক্তদের মধ্যে দু'জনকে আগেও চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"
পুলিশ কর্তাদের কথায়, কানপুরের শহরতলির পাঙ্কির ব্যবসায়ী একটি কারখানা চালান, যেখানে কাপড় রঙ করা হয়। ব্যবসায়ীর ছেলে (নাম গোপন রাখা হয়েছে) স্থানীয় কিছু দুষ্টু লোকের সঙ্গে মিশেই বিপথগামী হতে শুরু করে। তাঁকে ঠিক করতেই ছেলেটিকে তার বাবা কটূকথা বলেছিলেন। তল্লাশিতে জানা যায়, ছাত্রটি বাড়ি থেকে ২০ লক্ষ টাকা নগদ টাকা এবং ৮০ লক্ষ টাকার সোনা ও রূপোর গয়না চুরি করেঠিল। এরপর বাবা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
