আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুধু "ভোগভূমি" (আনন্দের ভূমি) নয়, গোয়া "যোগভূমি" (ভক্তি ও যোগের ভূমি) এবং "গো-মাতা ভূমি" (গরুদের ভূমি)-ও। এমনই দাবি কেরছেন সে রাজ্যের মুক্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। তাঁর দাবি, ভারতের পশ্চিমের উপকূলীয় রাজ্যটি "সূর্য, বালি এবং সমুদ্র"-এর চেয়েও তার মন্দির এবং সংস্কৃতির জন্য বেশি লোককে আকৃষ্ট করছে।
শনিবার 'সনাতন রাষ্ট্র শঙ্খনাদ মহোৎসব'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। সনাতন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা জয়ন্ত আঠাওয়ালের ৮৩তম জন্মবার্ষিকীতে মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্ত বক্তব্য রাখছিলেন। সেখানেই তিনি বলেন, "আগে, যখনই মানুষ গোয়ায় আসত, তাঁরা ভাবত এটি ভোগভূমি (আনন্দের ভূমি)। কিন্তু, এটি শুধু ভোগভূমি নয়, এটি যোগভূমি (ভক্তি ও যোগের ভূমি এবং গো-মাতা ভূমি-ও। এখানে, সনাতনী সগঠনের আশ্রমও আছে।"
পুরাণ মতে ভগবান বিষ্ণুর অবতার ভগবান পরশুরাম আরব সাগরে তীর নিক্ষেপ করে পিছিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ভূমিই গোয়া নামে পরিচিত। সেকথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্ত বলেন: "এটি ভগবান পরশুরামের ভূমি।"
সাওয়ান্ত দাবি, রাজ্যের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর মন্দিরগুলি গোয়ার মনোরম সৈকতের চেয়েও বেশি আকর্ষণীয়। অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, এখন অনেক পর্যটক গোয়ায় আসছেন এখানকার বিশুদ্ধ সংস্কৃতি ও প্রাচীন মন্দির দেখার জন্য। সাওয়ান্তের কথায়, "অতীতে, লোকেরা সূর্য, বালি এবং সমুদ্র দেখার জন্য গোয়ায় বেড়াতে আসতেন। এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। পর্যটকরা আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং বিশাল মন্দিরগুলি উপভোগ করতে এখানে আসছেন।"
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গোয়ার মন্দিরগুলি সরকার দ্বারা পরিচালিত হয় না বরং স্থানীয় সম্প্রদায় সেগুলির দেখভাল করে। মন্দিরগুলিতে শতাব্দী প্রাচীন আচার-অনুষ্ঠান এবং রীতিনীতি বজায় রয়েছে ।
Tourists Are Now Coming To Goa To See Cleanest, Beautiful Temples: Chief Minister Pramod Sawant pic.twitter.com/4uA3cl9LEM
— NDTV (@ndtv)Tweet by @ndtv
উত্তর গোয়ার রামনাথী গ্রামে অবস্থিত 'সনাতন রাষ্ট্র শঙ্খনাদ মহোৎসব'-এর প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেছেন, এই সংগঠন মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক সচেতনতা এনেছে এবং সনাতন ধর্ম সম্পর্কে মানুষকে আরও বেশি শিক্ষা দিয়েছে।
পটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত গোয়া। এবার বিজেপির পরিচালিত সরকার সেই রাজ্যের নতুন ভাবমূর্তি তৈরির চেষ্টায় মরিয়া। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি সরকারের সেই ভবিষ্যৎ নীতিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছেন একাংশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
