আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুই বছর বয়স হলেও, কথা বলতে পারত না খুদে সন্তান। স্পিচ থেরাপি চললেও, সন্তানের কথা না বলাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হত স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েই চরম পদক্ষেপ করলেন এক তরুণী। স্বামীর অনুপস্থিতিতে দুই সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চল্লরী সাইলক্ষ্মী দুই বছরের যমজ সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর আত্মঘাতী হয়েছেন। দুই বছরের যমজ সন্তানের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করেন তিনি। যমজ সন্তানের মৃত্যু নিশ্চিত হতেই আত্মঘাতী হন তরুণী।
ভোররাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের বলানগরে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, দুই যমজ সন্তানকে খুনের পর পাঁচ তলা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। খুন ও আত্মহত্যার সময় সাইলক্ষ্মীর স্বামী অনিল কুমার কর্মক্ষেত্রে ছিলেন। তরুণীর পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই অনিল কুমারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অনিল কুমারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল সাইলক্ষ্মীর। সেই ঝামেলার কারণেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরেই চরম পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তরুণী। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সাইলক্ষ্মী ঝাঁপিয়ে পড়ার পরেই প্রতিবেশীরা টের পান। তড়িঘড়ি করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তরুণীর ঘর থেকে যমজ সন্তানের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ আধিকারিক টি নরসিংহ রাজু জানিয়েছেন, যমজ সন্তানের একজনের স্পিচ থেরাপি চলেছিল। দুই বছর বয়স হলেও, ঠিক মতো কথা বলতে পারত না সে। খুদে সন্তানের কথা না বলাকে কেন্দ্র করেই অনিল ও সাইলক্ষ্মীর ঝামেলা চলছিল। সেই ঝামেলাকে ঘিরেই চরম পদক্ষেপ করেন তরুণী।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ঠিক এমনই এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল বেঙ্গালুরুতে। এক ঘর থেকেই উদ্ধার মা ও দুই খুদে সন্তানের ঝুলন্ত দেহ। উৎসবের আবহে এহেন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সন্তানদের খুন করে তরুণী আত্মঘাতী হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু কারণ কী? তদন্তে নামলেও এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সি এক তরুণী দুই সন্তানকে খুন করে, আত্মঘাতী হয়েছেন। তরুণীর নাম, বিজয়লক্ষ্মী। তিনি তাঁর এক ও চার বছরের সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, পরিবারটি আদতে রাইচুর জেলার বাসিন্দা। কিন্তু তরুণীর স্বামী বেঙ্গালুরুতে একটি শপিং মলে কাজ করেন। সেই সূত্রেই বেঙ্গালুরুতে থাকত পরিবারটি। পুলিশের অনুমান, স্বামীর সঙ্গে কোনও একটি বিষয়ে ঝামেলা হয়েছিল তরুণীর। যার জেরেই সন্তানদের খুন করে চরম পদক্ষেপ করেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতেই বাড়ি থেকে তরুণী ও তাঁর এক ও চার বছরের সন্তানদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সম্ভবত সন্তানদের শ্বাসরোধ করে খুনের পর দেহ দুটি সিলিং ফ্যানের ঝুলিয়ে দেন তরুণী। এরপর নিজে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। দেহটি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ঘটনার মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
