আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরও উন্নতির পথে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীর সেনার ডিফেন্স অ্যাকুইজেশন কাউন্সিল শুক্রবার ১০ টি প্রস্তাব দিয়েছে। সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য আরও বেশি মিলিটারি হার্ডওয়ার কেনার পক্ষে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই প্রস্তাবের বাস্তবায়নে খরচ হবে ১.০৫ লাখ কোটি টাকা। অপারেশন সিঁদুরের সফলতার পর এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি বিরাট পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি ইতিমধ্যে এবিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নতুন গাড়ি, ইলেকট্রনিক যুদ্ধের সরঞ্জাম, উন্নত প্রযুক্তি এবং নতুন ধরণের মিসাইলের দিকে জোর দেওয়া হয়েছে।
অপারেশন সিঁদুরের সফলতার পর এটাই ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীর প্রধানরা। তারা সকলেই নিজের মতো করে কথা বলেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে এই নতুন বিষয়গুলি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সামিল হলে সেখানে বাহিনীর ক্ষমতা আরও বাড়বে। এই তালিকায় সবার আগে রয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপ করা কুইক রিঅ্যাকশন মিসাইল। এটা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পাকিস্তান সীমান্তে বাড়তি সহায়তা করবে।
পাশাপাশি নৌবাহিনীতেও বেশ কয়েকটি নতুন সরঞ্জাম কেনা হবে। যার ফলে ভারতীয় নৌবাহিনী অনেক বেশি কার্যকরী হবে। তবে আধুনিক নানা প্রযুক্তির দিকে জোর দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। বিপক্ষকে যাকে চোখের নিমিষে নাস্তানাবুদ করে দেওয়া যায় সেজন্যেই এই ব্যবস্থা করা হবে।
অপারেশন সিঁদুরে গোটা বিশ্ববাসী ভারতের শক্তি দেখেছে। ভারতের আকাশ মিসাইল সিস্টেম দেখে অনেকের চোখ কপালে উঠে গিয়েছে। এমনকি চিনে তৈরি পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে নিমেষে কাবু করেছে ভারতের মিসাইল। এছাড়া ব্রাক্ষ্মস মিসাইলের জেরে একেবারে হিমসিম খেয়েছে পাকিস্তান। তাই এবার বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করে সেনাকে আরও শক্তিশালী করার দিকেই জোর দিয়েছে ভারত।
পাকিস্তান অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের শক্তি বুঝেছে। তবে তারা জঙ্গিদের মদত করা থেকে পিছিয়ে আসেনি। তবে ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যদি ফের ভারতের মাটিতে জঙ্গি হামলা হয় তাহলে ফের উচিত শিক্ষা পাবে পাকিস্তান।
