আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রের ফলটনের উপ-জেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার। উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ওই মহিলা চিকিৎসকের বা হাতের তালুতে পাওয়া গিয়েছে কিছুটা লেখা। তাতে তিনি লিখেছেন, পুলিশ ইনস্পেক্টর গোপাল বাদনেই তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী। শুধু এটুকুই নয়। হাতের তালুতেই তিনি লিখে গিয়েছেন, পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে তাঁর উপর শারীরিক, মানসিক নির্যাতন চালিয়েছেন ওই ইনস্পেক্টর।
তাঁকে চারবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। হাতের তালুতে তিনি যা লিখে গিয়েছেন, তার কিছু অংশের বাংলা তরজমা করলে দাঁড়ায়, 'ও আমাকে চার বার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে ও আমাকে ধর্ষণ, মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করেছে।'
আরও পড়ুন: হোটেলের খাটের ভিতর যুবকের পচা-গলা দেহ, খাস কলকাতায় ফের হাড়হিম খুন!
সূত্রের খবর, তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আগেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, ১৯ জুন ফলটনের ডিএসপিকে ওই মহিলা চিকিৎসক একটি চিঠি লিখেছিলেন। তাতে তিনি তিন পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন বৃহস্পতিবার রাতে। ঘটনায় সে রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
শাসক জোটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কংগ্রেস নেতা বিজয় নামদেবরাও ওয়াদেত্তিওয়ার। সুইসাইড নোট নিয়ে সরকারের প্রবল সমালোচনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'এই মামলায় কেবল তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যথেষ্ট নয়। এই পুলিশ অফিসারদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত, অন্যথায়, তাঁরা তদন্তের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেন। কেন ওই চিকিৎসকের আগের অভিযোগটিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়নি? যাঁরা এটি উপেক্ষা করেছে এবং যাঁরা এই পুলিশ অফিসারদের রক্ষা করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যতক্ষণ না পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশের এই আচরণ রোধ করা যাবে না।'
