আজকাল ওয়েবডেস্ক: অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন বাবা। মাঝ রাস্তায় ঘটল বিপত্তি। বাবার কোলে মাথা রেখেই জ্ঞান হারিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল ১৪ বছরের ছেলে। ছেলের মৃত্যুর আঘাত সইতে না পেরে, তিনিও কয়েক মিনিট পর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ছেলের মৃত্যুর কয়েক মিনিট পরেই প্রাণ হারান বাবা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরে। মঙ্গলবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রামবান জেলায়। দীর্ঘদিন ধরেই ছেলের অসুস্থতা নিয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন ওই ব্যক্তি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই বাবার কোলে মাথা রেখেই জ্ঞান হারিয়ে, মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে কিশোর। ছেলের অকালমৃত্যুর আঘাত সহ্য করতে না পেরে, তৎক্ষণাৎ হার্ট অ্যাটাক হয় ওই ব্যক্তির।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বনিহালের তেথার এলাকায় বাবা ও ছেলে কয়েক মিনিটের তফাতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। ৪৫ বছর বয়সি সাবির আহমেদ গনিয়া ১৪ বছরের ছেলে সাহিল আহমেদকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সাহিল দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিল। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই বাবার কোলে মাথা রেখেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে সাহিল।
ছেলের অকালমৃত্যুর পরেই, শোকগ্রস্ত সাবির হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। মিনিট কয়েক পর তাঁরও মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে বনিহালের জেলা হাসপাতালে বাবা ও ছেলের মৃতদেহ এনে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। বাব ও ছেলের একসঙ্গে মৃত্যুর ঘটনায়, শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই হার্ট অ্যাটাকে আরও এক মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছিল ৫৯ বছরের এক গৃহবধূর। চাঁদ দেখে স্বামীর মুখ দেখার কথা ছিল। সারাদিন উপোস ছিলেন স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায়। ব্রত পালনের মাঝেই ঘটল বিপত্তি। উপোস করে নাচতে নাচতে জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন ৫৯ বছরের এক প্রৌঢ়া। মুহূর্তের মধ্যে মর্মান্তিক পরিণতি হল তাঁর। করবা চৌথের দিনেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, করবা চৌথে অর্থাৎ গত শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বারনালা জেলায়। ১০ অক্টোবর করবা চৌথ উপলক্ষে ধুমধাম আয়োজন হয়েছিল বাড়িতে ও প্রতিবেশীদের ঘরে। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে হুল্লোড়ে মেতেছিলেন এক প্রৌঢ়া। স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় উপোস করেছিলেন। করবা চৌথের রাতে নাচতে নাচতেই মর্মান্তিক পরিণতি হল ৫৯ বছরের গৃহবধূর।
আরও জানা গেছে, মৃত গৃহবধূর নাম, আশা রানি। করবা চৌথে পছন্দের হলুদ রঙের শাড়িতে সেজেছিলেন তিনি। করবা চৌথ পালন করতে গিয়েছিলেন প্রতিবেশীর বাড়িতে। সঙ্গে ছিলেন স্বামী ও নাতনিরাও। উপোস রেখেই নাচ করছিলেন তিনি। তখনও চাঁদ দেখে উপোস ভাঙেননি। প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদে তুমুল নাচানাচি করছিলেন। নাচতে নাচতে আচমকাই জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
তৎক্ষণাৎ প্রতিবেশীরাই ওই প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার পরেই, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন আশা রানির পরিবার। এলাকায় সুনাম ছিল তাঁদের। করবা চৌথেই গৃহবধূর মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
