আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাঞ্জাবের এক প্রভাবশালী পরিবারের ভেতর সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর মোড়। ছেলের মৃত্যুতে দায়ী বাবা? রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশ ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিপি)-র ছেলের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের তির খোদ তাঁর বাবার বিরুদ্ধেই। পঞ্চকুলার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ওই যুবকের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বাবার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এমনকী, তাঁকে (ছেলেকে) খুনের ষড়যন্ত্রও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই সত্য ফাঁস হতেই হুলুস্থুল। 

 

জানা গিয়েছে, মৃত আকিল আখতারের (৩৫) মৃত্যুর ঘটনায় পাঞ্জাবের প্রাক্তন ডিজিপি মহম্মদ মুস্তাফা, তাঁর স্ত্রী তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রাজিয়া সুলতানা, তাঁদের মেয়ে এবং পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংবিধানের (বিএনএস) ১০৩(১) এবং ৬১ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

 

পুলিশ জানিয়েছে, আকিলকে তাঁর বাড়িতে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। পরে তাঁদের তরফে দাবি করা হয়, অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলেই আকিলের মৃত্যু হয়েছে। তবে, প্রতিবেশী শামসুদ্দিন চৌধুরীর দায়ের করা অভিযোগ এবং গত ২৭ আগস্ট আকিলের রেকর্ড করা একটি ১৬ মিনিটের ভিডিও ঘিরে এই মৃত্যু নিয়ে ষড়যন্ত্রের সন্দেহ জোরালো হয়েছে।

 

ওই ভিডিওয় আকিল তাঁর বিয়ের পর থেকে সইতে থাকা মানসিক যন্ত্রণার কথা বিস্তারিত বর্ণনা করেন। তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালে তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে নিজের স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। তিনি আরও দাবি করেন যে, তাঁর মা ও বোন তাঁকে খুন করার বা মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। আকিলের অভিযোগ, তাঁকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে (রিহ্যাব) পাঠানো হয়েছিল, শুধু তাই নয়, তাঁর ব্যবসার আয় থেকে বঞ্চিত পর্যন্ত করা হয়েছিল। তিনি তাঁর উপর হওয়া মানসিক নির্যাতন, শারীরিক হেনস্থা এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকির বিস্তারিত বিবরণও দেন।

 

শামসুদ্দিনের অভিযোগে আকিল এবং তাঁর পরিবারের মধ্যেকার চাপা অসন্তোষের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। আকিলের ভিডিওটিকে তাঁর জীবন ঝুঁকির ‘স্পষ্ট সতর্কবার্তা’ হিসাবে উল্লেখ করে তিনি এই রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে পথকুকুরের কামড় খেলেন ওয়েলশ উদ্যোগপতি, তবু ভারত ছাড়তে নারাজ, কী বলছেন নেটিজেনরা?  

 

অভিযোগে আকিলের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ডিজিটাল প্রমাণ, কল রেকর্ডস, এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখার দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, এই রহস্য মৃত্যুর জেরে সুবিচার নিশ্চিত করতে পরিবারের সদস্য বা পরিচিতদের সম্ভাব্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টিও তদন্তের আওতায় আনার আবেদন করা হয়েছে।